• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

জুমার খুতবার প্রাক আলোচনায় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন বিষয়ে আলোচনা রাখতে ইমাম সমিতির আহ্বান

প্রকাশ:  ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরের চার সহ¯্রাধিক মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবার প্রাক-আলোচনায় জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন বিষয়ে আলোচনা রাখতে খতিবদের প্রতি চাঁদপুর জেলা জাতীয় ইমাম সমিতি আহ্বান জানিয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ে বিকেল ৩টায় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইফার উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আবদুস সামাদ।
    ইমাম সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মাওঃ মোঃ সাইফুদ্দিন খন্দকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওঃ আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ইফার ফিল্ড অফিসার মোঃ আলী আজগর, ফিল্ড সুপারভাইজার মোহাম্মদ সামছুদ্দিন ও হিসাবরক্ষক মোঃ আবদুল হালিম, শাহী জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, আল হেলাল জামে মসজিদের খতিব মাওঃ মোঃ আবদুর রহমান গাজী, গুপ্টি বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি এসএম জাকির, গুণরাজদী ভূঁইয়া বাড়ি জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওঃ মোঃ মাকসুদুল্লাহ প্রমুখ।
    সভায় বক্তারা বলেন, চাঁদপুর সিভিল সার্জন ইমাম সমিতিকে চিঠি দিয়েছেন যে, আগামী ১৯ জানুয়ারি  শনিবার সারাদেশে একযোগে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। সেদিন ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। একইসঙ্গে শিশুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি পরামর্শ দেয়া হবে। এ বার্তা মানুষের কল্যাণে জুমার খুতবার প্রাক-আলোচনায় বলা গুরুত্বপূর্ণ। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিনামূল্যে বিরতিহীনভাবে ভিটমিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ঐ দিন ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানোর উপযুক্ত বয়সী সব শিশুকে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অথবা ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
    ভিটামিন এ ক্যাপসুলের উপকারিতা সম্পর্কে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, (১) ভিটামিন 'এ' শিশুর স্বাভাবিক দৃষ্টি শক্তি বজায় রাখে, ফলে শিশু রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায়। (২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। (৩)  শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।

 

সর্বাধিক পঠিত