বেদখল হচ্ছে সিআইপি বেড়িবাঁধের সম্পত্তি
দখল প্রতিযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে দখলকারীরা। প্রতিদিনই নতুন নতুন স্থানে সিআইপি বেড়িবাঁধের সম্পত্তি দখল হয়ে যাচ্ছে। উচ্ছেদকৃত স্থান পুনরায় দখল-এ যেনো রাস্তায় পড়ে থাকা বেওয়ারিশ কোনো পণ্য। যে যার মতো করে নিজ ইচ্ছেমতো পছন্দের জায়গা দখল করে দোকানপাট নির্মাণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, ৬৫ কিলোমিটারের সিআইপি বেড়িবাঁধের ভেতরে কোথাও না কোথাও প্রতিদিনই গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট। অথচ সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে পাউবোর কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দখলকারীদের নিকট হতে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কারণেই এ দখল প্রতিযোগিতা চলে আসছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হানকে সম্পত্তি দখলের বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি ব্যবস্থা নিলেও পরবর্তীতে ওই অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাত করে পুনরায় তারা দখলদারিত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারণেই এসব হচ্ছে বলে একটি সূত্র জানায়। ওই সূত্রটি আরো জানায়, দখলকারীরা সরকার দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে পাউবোর কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কিছু টাকা দিয়ে স্বার্থ হাসিল করে যাচ্ছে। এতে সরকারি সম্পত্তি যে দখলদারদের হাতে চলে যাচ্ছে সেদিকে কারো মাথা ব্যথা নেই। সিআইপি বেড়িবাঁধের কোথাও না কোথাও প্রতিদিন ছোটখাট দোকান নির্মাণ করতে দেখা গেছে। আর উচ্ছেদের পর পুনরায় উচ্ছেদকৃত স্থান দখল হয়ে গেলেও সেদিকে কেউ নজর করেনি।
গত ক’দিন পূর্ব থেকে সিআইপি বেড়িবাঁধের চাঁদপুর সদরের নানুপুর স্লুইচ গেটের পূর্ব পাশে ডিএনসির বাজার ও পিবিএম ব্রিক ফিল্ড সংলগ্ন বেড়িবাঁধের ভেতর পাকা দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে। আর ডিএনসির বাজারে যে দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে দেখা গেছে জনগণের চলাচলের বাঁশের সাঁকো বন্ধ করে দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে। দোকান নির্মাণের বিষয়টি পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান অবগত হয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু একটি চক্র পাউবোর কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাধ্যমে কাজ করার পাঁয়তারা করে আসছে।
জানা যায়, পাউবো থেকে লীজ কার্যক্রম বন্ধ থাকার পরও দখলবাজরা লীজ এনেছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ইতঃমধ্যে ওই অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশে অনেক স্থানেই অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে ব্যবসা-বাণিজ্য করা হচ্ছে। আর ওই চক্রের ভয়ে কেউ মুখ খুলে কথা বলার সাহস পাচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সচেতন ব্যক্তি জানান, দখলকারীরা স্থানীয় সরকার দলীয় কিছু নেতা-কর্মী ও পাউবোর কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে সরকারি সম্পত্তি দখল করে সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের খবর পেলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। গত বছর উচ্ছেদ করার কথা থাকলেও জনবল সঙ্কটের কারণে উচ্ছেদ করা যায়নি। এখন আবার কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করবো উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার জন্যে।