হাজীগঞ্জে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিক্ষিকা মুক্তা মনোনয়ন প্রত্যাশী
স্কুল শিক্ষিকা মুক্তা আক্তার। স্বামী শাহ আলমও স্কুল শিক্ষক। উচ্চ শিক্ষিত স্বামী-স্ত্রী দু’জনই রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে। পুরো পরিবার আওয়ামী ঘরানার পরিবার। এমন পরিবারের সদস্য মুক্তা আক্তার আসছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হাজীগঞ্জ উপজেলা থেকে নৌকা প্রতীকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইতঃমধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগের গ্রীন সিগনাল পেয়ে বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ শুরু করছেন।
আওয়ামী লীগ পরিবারে জন্ম মুক্তা আক্তারের শৈশব-কৈশোর কেটেছে বাবার বাড়িতে। বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে দেখেন স্বামীর পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। স্বাভাবিকভাবেই স্বা-স্ত্রী দু’জনেই জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাথে। উপজেলার কালোচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মুক্তা আক্তারের স্বামী একই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহ আলম। মুক্তা আক্তার নিজে ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বামী শাহ আলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক।
লাইব্রেরী সাইন্সে প্রথম বিভাগে পাস করা মুক্তা আক্তার ১৯৯৬ সালে এসএসসি, ১৯৯৮ সালে এইচএসসি ও বিএসএস পাস করেন ২০১২ সালে। হোমিও চিকিৎসা পেশায় ডি.এইচ.এম.এস. পাস করেছেন আরো আগে। ২০১১ সালে থেকে এমপিওভুক্তির মাধ্যমে শিক্ষকতা করছেন মুক্তা আক্তার।
এক প্রতিক্রিয়ায় চাঁদপুর কণ্ঠের মাধ্যমে হাজীগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে মুক্তা আক্তার বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্যকন্যা আমার নেত্রী জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমার নেত্রী সারাদেশে উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন হাজীগঞ্জবাসী আমাকে নির্বাচিত করলে আমি নেত্রীর পথ অনুসরণ করে সেই উন্নয়নে অংশ নেবো। আওয়ামী লীগের পরিবারের সন্তান কিংবা বউ হিসেবে আমার রক্তটাই এখনো আওয়ামী লীগের হয়ে গেছে। দলের স্বার্থে যেকোন বিষয়ে আমি কাজ করে যাবো আমৃত্যু। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আমাকে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিলে আমি দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। আশা করি হাজীগঞ্জবাসী আমাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করবেন।