ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য অংশে আবারো ডাঃ দীপু মনি
এই প্রথম কোনো নারী শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য অংশে আরো একবার নাম লেখালেন চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ ডাঃ দীপু মনি। এর আগে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রথমবারের মতো ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য অংশীদার হয়েছেন। যা ছিলো শুধু বাংলাদেশেই নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম কোনো নারীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়া।
২০০৯ সালের জানুয়ারিতে গঠিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা যেমনি চমক দেখিয়েছে বিশ^কে, ঠিক একইভাবে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারিতে চমক দেখালো শেখ হাসিনার ‘ম্যাজিক’ মন্ত্রিসভা। এ মন্ত্রিসভায় যেমনি রয়েছে একঝাঁক তরুণ সংসদ সদস্য, তেমনি বিগতদিনে বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কোনো নারীকে দেয়া হয়নি, সে মন্ত্রণালয় তথা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব এবার ডাঃ দীপু মনিকে দিয়ে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেমনিভাবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন ২০০৯ সালেও।
একাদশ জাতীয় সংসদসহ পর পর তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ¦ ডাঃ দীপু মনি এবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হচ্ছেন-এমনটাই ছিলো প্রায় সকলের মুখে মুখে। আবার কেউ কেউ আইনমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনার কথাও বলতে লাগলেন। যেহেতু তিনি একাধারে একজন চিকিৎসক এবং আইনজীবী। কিন্তু সকল ধারণাকে পাল্টে দিয়ে দেশবাসীকে যেনো চমকে দিলেন শেখ হাসিনা। সরকারের যে মন্ত্রণালয়টির কর্মকা-ের পরিধি দেশব্যাপী বিস্তৃত, দেশের সবচেয়ে বড় পরিবার তথা শিক্ষাপরিবার নিয়ে যে মন্ত্রণালয়টি কাজ করে থাকে, বিশেষত মেধাসম্পন্ন জাতি গড়ার কাজটি করে যে মন্ত্রণালয়, সে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হলো ডাঃ দীপু মনিকে। যেটি হয়ত শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কেউ চিন্তাও করেননি।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয়ে থাকে। বেগম রোকেয়ার বদান্যতায় নারী জাগরণের মধ্য দিয়ে দেশের নারীদের স্বাধীনভাবে পথচলা শুরু হওয়ার ৪৭ বছর পর এই প্রথম কোনো নারী বাংলাদেশে শিক্ষামন্ত্রী হলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ডাঃ দীপু মনি যে অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছেন, সেটির উপর আস্থা রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাঃ দীপু মনিকে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন, এমনটাই বলছেন অভিজ্ঞমহল। যাতে এখানেও তিনি উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাতে পারেন।