প্রথমেই চমক দেখালেন অ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল
মতলব উত্তরের কৃতী সন্তান অ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল এই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেন। জনরায়ের এ পরীক্ষায় এসে প্রথমবারই তিনি চমক দেখিয়ে দিলেন। প্রথমেই জয়ের মালা পরলেন ঢাকার রাজপথ কাঁপানো এই রাজনীতিবিদ। এ যেনো প্রথম বলেই ছক্কা। তাও যেনতেন ছক্কা নয়, বল একেবারে উধাও হয়ে যাওয়ার মতো ছক্কা। হ্যাঁ, ভোটের ফলাফলে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান এমনই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনে বিজয়ী এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর মাঝে ভোটের ব্যবধান চোখ কপালে ওঠার মতোই। বলতে গেলে নাগালের অনেক দূরে।
গত ৩০ ডিসেম্বর রোববার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল রেকর্ড ভঙ্গ করার মতো ভোটে জয়লাভ করেন। ৩০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোঃ শাহিদুল ইসলাম এবং মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার শারমিন আক্তার দুই উপজেলার ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন। ফলাফল ঘোষণা শেষে দেখা গেলোÑঅ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল ২ লাখ ৯০ হাজার ৭শ’ ৭৩ ভোটের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেন।
দুই উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসারের তথ্য সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর-২ আসনের ১শ’ ৫৪টি ভোটকেন্দ্রের কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। এ আসনে দুই উপজেলার ৪ লাখ ৩ হাজার ২২ ভোটারের মধ্যে ৩ লাখ ১ হাজার ৫০ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব অ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব ড. মোঃ জালাল উদ্দিন (ধানের শীষ) সর্বমোট ভোট পেয়েছেন ১০ হাজার ২শ’ ৭৭। এ দুই প্রার্থীর প্রাপ্ত এ ভোটের মধ্যে মতলব দক্ষিণ উপজেলায় নৌকা মার্কা ভোট পেয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯শ’ ২৫ ভোট এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ পেয়েছে ৭ হাজার ৪শ’ ৬৯ ভোট। আর মতলব উত্তর উপজেলায় নৌকা ভোট পেয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ১শ’ ২৫ ভোট এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ পেয়েছে ২ হাজার ৮শ’ ৮ ভোট।
এদিকে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের সময় ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়, লুধুয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকিরগাঁও সপ্রাবি, মুন্সীরহাট উচ্চ বিদ্যালয়, মতলব ডিগ্রি কলেজ, দগরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নওগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়, পয়ালি কেবিএম উচ্চ বিদ্যালয়, পয়ালী সপ্রাবি, নারায়ণপুর সপ্রাবি, নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয় ও বরদিয়া কাজী সুলতান আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ ক’টি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছে। ভোট প্রদানের পুরো সময়টাতেই প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রার্থীর প্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পুরো নির্বাচনী এলাকায় সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। তাঁরা দুই উপজেলার ভোট কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছেন।