বিএনপির ৩ প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন
বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে চাঁদপুর জেলার পাঁচ আসনে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন
গতকাল ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর জেলার ৫টি আসনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিকের গাড়িতে হামলা-ভাংচুর, বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় কমবেশি ৫০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে বিএনপির তিন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন।
গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে সারাদেশের মতো চাঁদপুরের ৫টি আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পাঁচটি আসনের প্রায় সকল কেন্দ্রেই সকাল থেকে প্রচুর ভোটারের উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্যণীয়। নারী-পুরুষ উভয় ভোটারের উপস্থিতিই ছিলো ব্যাপক। এদিকে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কের মধ্য দিয়ে ভোটের দিনটি শুরু হলেও কোথাও বড় ধরনের কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার বিপুল সংখ্যক সদস্যের কড়া নজরদারী ও সশস্ত্র টহলের কারণে অপরাধীরা বড় ধরনের কোনো অপরাধ কর্মকা- চালাতে সাহস পায়নি বলে মনে করেন সচেতনমহল। এরপরও বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাজারে এক ব্যবসায়ীর দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া একই উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে প্রার্থীদের সমর্থক তথা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। নির্বাচন পর্যবেক্ষণকালে হাজীগঞ্জের টোরাগড় হাইস্কুলের পাশে বিএনপি সমর্থকদের হামলায় দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত এবং কালের কণ্ঠের হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি কামরুজ্জামান টুটুল আহত হয়েছেন। এ সময় কাজী শাহাদাতকে বহনকারী প্রাইভেটকারটি ভাংচুর করে বিএনপির সমর্থকরা।
হাইমচর উপজেলার উত্তর আলগী ইউনিয়নের দক্ষিণ কমলাপুর গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির সামনে বিএনপির সমর্থকরা পুলিশের উপর চড়াও হয়। তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হামলাকারীরা। এ ঘটনায় হাইমচর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আলমগীর হোসেনসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া ওই দৃর্বৃত্তরা আওয়ামী লীগ সমর্থক স্থানীয় ইউপি সদস্য সফিক ও তার ভাই আব্দুল মান্নান আখন্দের ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। একই সময় সফিকের ভাগিনার মুদি দোকানেও হামলা হয়।
চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ইচলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ বিএনপির সমর্থকরা।
এদিকে চাঁদপুর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ড. জালাল উদ্দিন, চাঁদপুর-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী লায়ন মোঃ হারুনুর রশিদ ও চাঁদপুর-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক পৃথক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন বর্জন করেছেন।