আহতদের দেখতে হাসপাতালে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম
হাজীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নৌকার গণসংযোগে হামলার অভিযোগ
গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নৌকার গণসংযোগে ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কমপক্ষে ৬ জন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আহতদের দেখতে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেজর (অবঃ) রফিকুল ইমসলাম বীর উত্তম। ঘটনাগুলো ঘটে উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের স্থানীয় নোয়াহাট বাজার, বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর বাজার, পৌরসভাধীন ধেররা ও হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে।
আহতরা হলেন : বড়কুল পূর্ব ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মোঃ নুরুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা আমির হোসেন, বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম কামাল, হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা সোহেল প্রধানীয়া ও স¤্রাট প্রধানীয়া এবং পৌরসভাধীন ৩নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির।
আহত যুবলীগ নেতা গাজী নুরুল ইসলাম ও আমির হোসেন জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আজও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় নোয়াহাট বাজারে নৌকা প্রতীকের গণসংযোগ শুরু করি। আমরা যখন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে আসি, তখন আমাদের প্রচারে বাধা দেয় স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত। প্রচারে বাধা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে জামায়াত নেতা বিল্লাল হেফাজত, স্থানীয় মসজিদের ইমাম শাহজান হুজুর, মনির হুজুর ও যুবদল নেতা ফারুকসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী আমাদেরকে ধর ধর বলে এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এতে আমরা দুজন গুরুতর আহত হই। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
অপরদিকে একইভাবে বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নে যুবলীগের গণসংযোগে হামলা করেছে ছাত্রদল ও যুবদল। এ সময় যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম কামাল গুরুতর আহত হন। হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে যুবদল ও ছাত্রদলের হামলায় যুবলীগের সোহেল প্রধানীয়া ও স¤্রাট প্রধানীয়া এবং পৌরসভাধীন ধেররা গ্রামের সাব্বির গুরুতর আহত হন।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মোঃ মাইনুদ্দীন, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মান্নান, আব্দুর রহমান মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম ফারুক মুরাদ, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাসুদ ইকবাল, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে স্ব স্ব ইউনিয়নের বিএনপি-জামায়াত নেতৃবৃন্দকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ উপস্থিত হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।