চাঁদপুরের ৫টি আসনের মধ্যে ৩টিতে লাঙ্গল নিয়ে লড়ছেন মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টি
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর জেলার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মাত্র ৩টি আসনে মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন।
জানা যায়, মহাজোটের মধ্যে আওয়ামী লীগের পরেই বড় রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি। যেটি দশম জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধীদল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। অপরদিকে দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় দুটি জোটের অধীনে প্রায় সকল রাজনৈতিক দল জোটভুক্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কারণে জাতীয় পার্টিও মহাজোটের শরীক হিসেবে জোটভুক্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। জোটের আসন ভাগাভাগির পর জাতীয় পার্টিকে ২৯টি আসন দেয়া হয়। আর দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের ১৪২টি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা তাদের দলের প্রতীক লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করছে। এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক চাঁদপুরের ৩টি আসনে এ দলের প্রার্থীরা তাদের দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী ভোটযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছেন।
এজন্যে অবশ্য দল থেকে তাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এই প্রার্থীরা হচ্ছেন চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে জাতীয় যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এমদাদুল হক রোমন, চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) উপজেলা জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পাটির আহ্বায়ক মোঃ এমরান হোসেন মিয়া ও চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ মাইনুল ইসলাম মানু।
জানা যায়, এ সকল প্রার্থী নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত মাঠে থাকবেন এবং জয়ের বিষয়ে তারা প্রতীক পেয়ে জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। তারা জাতীয় পার্টি ও এরশাদের শাসনামলের কথা স্মরণ করিয়ে লাঙ্গল প্রতীককে বিজয়ী করার জন্যে জনগণের কাছে তাদের ভোট প্রার্থনা করছেন।
নির্বাচন বিষয়ে ৩ প্রার্থীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তারা ৩ জনই নির্বাচনের মাঠে থাকবেন বলে জানান। তারা বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে সর্বপ্রথম আধুনিক বাংলাদেশের উন্নয়নের সূচনা করেছেন পল্লীবন্ধুু এরশাদ। এদেশের জনগণ এরশাদের শাসনামলের কথা মনে রেখেছে। তারা পরিবর্তন চায়। তাই আমাদের বিশ^াস, জনগণ তাদের গোপন রায়ে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে আমাদের বিজয়ী করবেন।
তারা অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এখন জনগণের দুয়ারে দুয়ারে আছি। অতএব নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। এগুলো যে বা যারা বলছে তারা অবশ্যই জাতীয় পার্টির শত্রু বলে আমি মনে করি। তাই জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, কোনো গুজবে কান না দিয়ে নিশ্চিন্তে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে লাঙ্গল প্রতীকে রায় দিবেন।