• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

গন্ধর্ব্যপুরে নির্বাচনী প্রচার থামিয়ে ঘরে ফিরলেন ইঞ্জিঃ মমিনুল হক

প্রকাশ:  ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:০০ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

গতকাল মঙ্গলবার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিনের শুরুতে নির্বাচনী প্রচারে নামলেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিঃ মমিনুল হক। উপজেলার ৯ ও ১০নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তার গণসংযোগ করার কথা। যথারীতি মোহাম্মদপুর, আহম্মদপুর, তারালিয়া ও মালিগাঁও বাজার পর্যন্ত গণসংযোগের কাজ শেষ করেন। এরপরেই বাধ সাধে পুলিশ। মালিগাঁও বাজারের প্রধান সড়কের পাশে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক বক্তব্য দেয়ার শেষ পর্যায়ে হাজীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। এ সময় গ্রেফতার আতঙ্কে অধিকাংশ নেতা-কর্মী সভাস্থল ত্যাগ করে। ইঞ্জিনিয়ারের বক্তব্য শেষ হওয়ার পূর্বেই পুলিশের টহলটিম কাশিমপুর বাজার ও ডাটরা শিবপুর এলাকার দিকে চলে যায়। এদিকে মালিগাঁও বাজার থেকে বেরিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক কাশিমপুর যাওয়ার পূর্বে পুলিশের বিষয়টি কানে আসলে পরবর্তী গণসংযোগগুলো না করে সোনাইমুড়িতে নিজ বাড়িতে ফিরেন ধানের শীষ প্রতীকের এ প্রার্থী।

সোনাইমুড়িতে উপস্থিত নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক বলেন, আজকের (মঙ্গলবার) গণসংযোগেও নিরাপত্তার নামে বেশ ক'জন বিএনপির নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। এতে নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান এবং পুলিশ সুপার মোঃ জিহাদুল কবির পিপিএমকে মুঠোফোনে অবহিত করেছি। তাছাড়া আগের দিন জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও নেতা-কর্মীদের হয়রানির বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে।

ইঞ্জিঃ মমিনুল হক আরো বলেন, গণসংযোগে জনসাধারণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। উৎসবের আমেজে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে। সেখানে যদি ধরপাকড় করা হয়, তাহলে কীভাবে আমরা নির্বাচন করবো? আমাদের গণসংযোগের সময়সূচি কারো সাথে সাংঘর্ষিক নয়। অন্যান্য প্রার্থীদের সাথে সমন্বয় করে গণসংযোগের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনও জানে। তারপরও এতো বাধা কেনো?

এমন পুলিশি নিরাপত্তা চান না উল্লেখ করে ইঞ্জিঃ মমিনুল হক বলেন, আমিতো নিরাপত্তা চাইনি। তাছাড়া যে নিরাপত্তার নামে আমার নেতা-কর্মীদের আটক করা হবে এবং নেতা-কর্মীসহ জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করবে, এমন নিরাপত্তা আমি চাই না। নিরাপত্তার নামে পুলিশ এদিন আমাদের ১১ নেতা-কর্মীকে আটক করে।

কাউকে আটক করা হয়নি জানিয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান জানান, গণসংযোগকালে বিএনপির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখায় রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি হয়। যার ফলে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়ে চলাচলের পথ উন্মুক্ত করে।

সর্বাধিক পঠিত