চাঁদপুরে জেলা প্রশাসনের মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ভালোবাসা হৃদয়ে ধারণ করতে হবে : জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান
মহান বিজয় দিবস-২০১৮ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গত ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হাসান আলী হাইস্কুল মাঠে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মঞ্চে জেলা প্রশাসন, চাঁদপুর-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির মহান ব্যক্তিরা তাঁদের জীবনকে উৎসর্গ এবং সুখ-শান্তিকে তুচ্ছ করে দিয়ে আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন শান্তির নিবাস সুন্দর এ বাংলাদেশ। এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে যুদ্ধের চেতনা ও ভালোবাসা হৃদয়ে ধারণ করতে হবে এবং উপলব্ধি করতে হবে। আজকে দেশ এতো উন্নত হয়েছে, চারদিকে তাকালেই উন্নয়নের ছোঁয়া, শান্তির ছোঁয়া। এই দেশকে আরো ভালোভাবে গড়ে তোলার জন্যে আমার-আপনার সকলের ভূমিকা রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শওকত ওসমান (উপ-সচিব)। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মঈনুল হাসান (উপ-সচিব)-এর সভাপ্রধানে আলোচনা করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার মহসীন পাঠান ও সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার মোঃ ছানাউল্লাহ খান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবিদা সুলতানা।
পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম তাঁর বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর বড় একটি ভূমিকা ছিলো। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় এমনি এমনিতেই আসেনি। রক্তাক্ত পথ পেরিয়ে আজ আমরা বিজয়ের স্বাদ গ্রহণ করছি। অনেক আত্মত্যাগের ফসল আমাদের এ বিজয় দিবস। এদেশ যদি স্বাধীন না হতো, আমরা স্বপ্ন দেখতে পারতাম না। তাই আমাদেরকে বিজয় দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিজয় দিবসের আলোচকবৃন্দ জাতির পিতা ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭১ সালের রণাঙ্গনে যতো মানুষ শহীদ হয়েছেন তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আরো শ্রদ্ধা জানান জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সেক্টর কমান্ডার ও পদকধারী সকল মুক্তিযোদ্ধার প্রতি।
সবশেষে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযোদ্ধা, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, বিজয় মেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ এবং মেলায় আগত বিপুল সংখ্যক দর্শক-শ্রোতা উপস্থিত থেকে বিজয় দিবসের এ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।