শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান
মহান এ ব্যক্তিরা যদি জীবিত থাকতেন তাহলে দেশকে আরো উন্নতমাত্রায় নিয়ে যেতে পারতেন
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০১৮ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চাঁদপুরে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চাঁদপুর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় জেলা প্রশাসন, চাঁদপুর-এর আয়োজনে আলোচনা সভা। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শান্তির সোনার এই বাংলায় মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। কোনো দৃষ্কৃতকারী, সন্ত্রাসী বা জঙ্গিবাদের স্থান এখানে নেই, হতে পারে না। যে কোনো মূল্যে আমরা হঠকারীদের প্রতিহত ও মোকাবেলা করবো। সোনার এ বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত হবে। স্বাধীনতার এই সৌন্দর্য্য দিনে দিনে আরো আলোকিত এবং বিকশিত হোকÑএটাই আমাদের কামনা।
তিনি আরো বলেন, আমাদের লাল-সবুজ পতাকাকে ছিনিয়ে আনার জন্যে মহান সেই ব্যক্তিরা যদি আজ জীবিত থাকতেন, তাহলে এ দেশকে তাঁরা আরো উন্নতমাত্রায় নিয়ে যেতে পারতেন। তাঁদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের জয় যখন নিশ্চিত, তখন তারা শেষ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। যদি বুদ্ধির ভা-ারকে ধ্বংস করা যায়, তাহলে এ দেশকে হয়তো ধ্বংস ও নেতৃত্বশূন্য করা যাবে। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা তখন জেলে ছিলেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে এ দেশ যাঁরা চালাতে পারেন তাঁদেরকে অত্যন্ত কৌশলে হত্যা করা হয়েছে। তাই নতুন প্রজন্মকে এ দিবস সর্ম্পকে জানতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শওকত ওসমান (উপ-সচিব)-এর সভাপ্রধানে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান (এসপি পদে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত), চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এএসএম দেলওয়ার হোসেন ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার চেয়ারম্যান মহসীন পাঠান। অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, সদর ইউএনও কানিজ ফাতেমাসহ বিশিষ্টজন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অগণিত মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবিদা সুলতানা। আলোচনা সভার পূর্বে দিবসের ওপর ডকুমেন্টারী পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন চাঁদপুরের বিশিষ্ট কবি, ছড়াকার ও লেখক ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়–য়া। সবশেষে চাঁদপুর ললিতকলা ও সুরধ্বনি সংগীত একাডেমি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।