• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

হাজীগঞ্জে সড়কের পাশ বর্ধিতকরণ : স্থানীয়রা মেতেছে গাছ কাটার উৎসবে

প্রকাশ:  ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

সড়কের অবকাঠামো উন্নয়নের নামে সড়কের দু’পাশ থেকে ইতিমধ্যে কয়েকশ' গাছ কেটে নিয়ে গেছে সড়কের পাশের জমির মালিকরা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ দানা বেঁধে উঠেছে। তবে স্থানীয়রা দাবি করছেন, তারা তাদের নিজেদের জমির পাশে লাগানো গাছ নিয়েছেন। সড়কের মাটি কাটার সময় ভ্যাকু মেশিন গাছগুলো নষ্ট করার চেয়ে নিজেরা কেটে নিলে গাছগুলো ভালো পাওয়া যাবে এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ১নং রাজারগাঁও উত্তর ইউনিয়নের মেনাপুর এলাকায়।  
    সরেজমিন গেলে দেখা যায়, স্থানীয় ডিঙ্গাবাঙ্গা থেকে শুরু করে মেনাপুর পীর বাদশা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম ও উত্তর পাশ হয়ে মুকুন্দসার সড়কে সম্প্রতি মাটি কেটে সড়কের বর্ধিতকরণের কাজ চলছে। এই বর্ধিতকরণের নামে জমি যার গাছ তার এমন ভিত্তিতে স্থানীয়রা গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে।  
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সড়কের পাশে যাদের জমি রয়েছে তাদেরকে জমিতে ফসল না বোনার জন্য ইউপি সদস্যগণ জানিয়ে দিয়েছেন । সেই আলোকে ফসল বুনন বন্ধ রাখার পাশাপাশি সড়কের পাশের গাছগুলো নিয়ে গেছে স্থানীয়রা। সড়কের পাশের জমির মালিকগণ গত ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে গাছ কেটে নিয়ে গেছেন এবং এখনো অনেকে গাছ কাটছেন। তবে স্থানীয়রা আরো দাবি করেছেন, মাটি কাটার সুবিধার্থে সড়কের পাশের গাছগুলোকে ভ্যাকু মেশিন ভেঙ্গে ফেলে। তাই ভ্যাকু যাতে গাছ নষ্ট করতে না পারে সেজন্যে সড়কের পাশের জমির মালিকরা গাছ কেটে নিয়ে গেছেন ।
    এদিকে গতকাল একই সড়কের মেনাপুর পীর বাদশা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে গাছ কাটা নিয়ে স্থানীয় দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে যায়। রাস্তার পাশে জমির মালিক স্বপন নিজেদের গাছ দাবি করে ছোট-বড় বেশ ক’টি গাছ বিক্রি করে দেন। অপর দিকে গাছগুলো বিদ্যালয়ের সম্পত্তি বলে দাবি করেন ইউপি সদস্য ও বিদ্যালয়ের সাবেক বিদ্যোৎসাহী সদস্য লিটন প্রধানীয়া।
    বিদ্যালয়ের গাছ এমন অভিযোগ অস্বীকার করে মেনাপুর পীর বাদশা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, গাছগুলো বিদ্যালয়ের মাঠের সাথে রাস্তার পাশে রয়েছে। যেহেতু রাস্তা সরকারের, সেহেতু গাছও সরকারের। তাই জমির মালিককে গাছ কাটার বিষয়ে বন বিভাগের সাথে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছি।
    ইউপি সদস্য ও বিদ্যালয়ের সাবেক বিদ্যোৎসাহী সদস্য লিটন প্রধানীয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, যারা গাছ কাটছে, তাদের সাথে আমি কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছে, যদি স্কুলের সম্পত্তির অংশে গাছ হয় তাহলে গাছ বিক্রির দ্বিগুণ টাকা স্কুলের ফান্ডে জমা দিবে।
    এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা তাজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ওই এলাকায় বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন নেই। সড়কটি যে বিভাগের, সে বিভাগ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে।

 

 

সর্বাধিক পঠিত