• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

লাল সবুজের সংমিশ্রণে সুসজ্জিত বিজয় মেলার মাঠ

১ ডিসেম্বর মেলা শুরু ॥ ৮ ডিসেম্বর শুভ উদ্বোধন

প্রকাশ:  ২৮ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বিগত বছরগুলোর ন্যায় এ বছরও চাঁদপুর শহরের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২৭তম মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে বিজয় মেলার কার্যক্রম শুরু করা হবে। ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর মুক্ত দিবসে বিজয় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। ইতিমধ্যে মেলার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।  
এ বছরও বিজয় মেলা মাঠ লাল সবুজের সংমিশ্রণে ফুটে উঠেছে। বিজয় মেলার প্রবেশদ্বার ও মূল গেইটের শোভাবর্ধন করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণের সেই প্রতিচ্ছবি দিয়ে। এছাড়া আরও স্থান পেয়েছে জাতীয় ৪ নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের ছবিগুলো। এ বছর বিজয় মেলার মাঠে অনেকটাই ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভিন্নতার মধ্যে রয়েছে বাচ্চাদের দুধ খাওয়াতে মায়েদের জন্যে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় স্টল। এছাড়া বিজয় মেলায় বিগত বছরের মত এ বছরও ১শ’ ৩০টি বাণিজ্যিক স্টল রাখা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে স্মৃতি সংরক্ষণের একটি বিশাল চিত্র প্রদর্শনী স্টল। গেটের দু’পাশে রয়েছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম। মেলায় তৈরি করা হয়েছে বিশাল আকারের একটি বিজয় মঞ্চ।
প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন। ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ জাতির জনকের ভাষণের পর চাঁদপুরের মুক্তিযোদ্ধারা এই মাঠে প্রথম প্রশিক্ষণ শুরু করেন। এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ মাতৃকাকে শত্রু মুক্ত করতে সেদিন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাই এই মাঠটি মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহন করে আছে। ১৯৯২ সাল থেকে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা এ বছর ২৭তম বিজয় মেলায় এসে দাঁড়িয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় এই বিজয় মেলার আনুষ্ঠানিক শুভ সূচনা করা হবে। আগামী ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর মুক্ত দিবসে বিজয় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি। উদ্বোধক থাকবেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ. ওয়াদুদ।
এ বছরও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হবে। থাকবে বিতর্ক প্রতিযোগিতা সহ অন্যান্য আয়োজন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে ত্রিপুরার আগরতলার স্বতীষ ইনস্ট্যান্ট শারদ সম্মাননা, দৈনিক মতলবের আলো সেরা কণ্ঠ শিল্পীবৃন্দ, দোয়েল সাংস্কৃতিক সংগঠন, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, স্বদেশ সাংস্কৃতিক সংগঠন, অগ্নিবীণা সাংস্কৃতিক সংগঠন, জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, খেলাঘর জেলা কমিটি, শিশু একাডেমি, বিবেকানন্দ যুব সংঘ, নৃত্যধারা, সম্মিলিত সাংস্কৃৃতিক জোট চাঁদপুর, চাঁদপুর মঞ্চ, সারদা দেবী সঙ্গীত নিকেতন-হাজীগঞ্জ, ঝিলমিল সাংস্কৃতিক সংঘ-কচুয়া, পুলিশ নারী কল্যাণ সংগঠন পুনাক, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা, চাঁদপুর ললিত কলা, সঙ্গীত নিকেতন, চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি, বাংলার মুখ সাংস্কৃৃতিক সংগঠন, নবজাগরণ সাংস্কৃতিক সংগঠন, রক্সি মিউজিক্যাল গ্রুপ, উদীচী চাঁদপুর, স্বাধীন বাংলা থিয়েটার, বাংলাদেশ হাওয়াইয়ান গিটার শিল্পী পরিষদ, রংধনু সৃজনশীল নৃত্য সংগঠন, স্বপ্ন কুঁড়ি সাংস্কৃতিক সংগঠন, নটমঞ্চ চাঁদপুর, সপ্তরূপা নৃত্য শিক্ষালয়, মৃত্তিকা মিউজিক একাডেমি, উদয়ন সঙ্গীত বিদ্যালয়, নতুন কুঁড়ি সাংস্কৃতিক সংগঠন, নৃত্যাঙ্গন, চাঁদপুর ড্রামা, সুরধ্বনি সঙ্গীত একাডেমি, চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠন, রঙের ঢোল ও বিজয় দিবসে জেলা শিল্পকলা একাডেমি।

 

 

সর্বাধিক পঠিত