চাঁদপুর শহরে অটোরিক্সার দৌরাত্ম্য ।। চলছে তীব্র যানজট
চাঁদপুর শহরে অটোরিক্সার দৌরাত্ম্য মারাত্মক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে শহরময় যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
চাঁদপুর শহরে এখন মানুষের চেয়ে অটোরিক্সার সংখ্যা বেশি বললেও ভুল হবে না। সড়কের যেখানেই চোখ পড়ে সেখানেই অটোরিক্সা দাঁড়ানো অবস্থায় দেখা যায়। যার কারণে শহরের প্রতিটি সড়কেই যানজট লেগেই আছে। ১০ মিনিটের রাস্তা ৩০ মিনিটেও যাওয়া যায় না। যেখানে সেখানে মূল সড়কের উপর অটোরিক্সা দাঁড় করিয়ে রেখে চালকরা যাত্রী ওঠানামা করে থাকে। ফলে পেছনের ও বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য যানবাহনগুলো চলাচল করতে না পারলেই যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। পুরো শহরজুড়ে নির্ধারিত স্থানবিহীন অটোরিক্সা স্ট্যান্ড বানিয়ে ফেলেছে চালকরা। তারা নিজেদের খেয়াল খুশি মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থান, সড়কের মোড়ে মূল সড়ককে স্ট্যান্ড বানিয়ে রেখেছে। যেমন শপথ চত্বর ও ওয়ান মিনিট মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে, মূল সড়কে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে পুরো শহরে যানজট লাগিয়ে রাখে। এসব বিষয় নিয়ে কেউ কোনো কর্ণপাত করে না। অটো চালকরা যে যার মতো করে চলে যায়। এতে সাধারণ জনগণ দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। প্রতিদিনই ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটছে। চালকদেরকে সাধারণ কেউ ডাক দিলে উল্টো তেড়ে আসে। মান সম্মানের ভয়ে সাধারণ মানুষ ও সচেতন ব্যক্তি কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। এরা দ্রুত গতিতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে থাকে। এদের বেশির ভাগ চালকই অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও অযোগ্য। তারা কোনো রকমে গাড়ি চালাতে পারলেই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। কোথায় কীভাবে থামাতে হবে জানে না এবং গতিসীমা বুঝে না। হাসপাতাল, স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের সামনে দিয়েও দ্রুততার সাথে গাড়ি চালায়। এতে অভিভাবকরা তাদের কোমলমতি শিশুদেরকে নিয়ে চিন্তিত থাকে, কখন আবার তাদের সন্তানরা দুর্ঘটনার শিকার হয়। গত ১৪ অক্টোবর জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম বলেছেন, অটোর বাড়ি এখন চাঁদপুর। তিনি এ বিষয়টি নিয়ে বসার কথা বলেন। অটোরিক্সার দৌরাত্ম্য বন্ধে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়রসহ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি একান্ত জরুরি।
চাঁদপুরের ট্রাফিক পুলিশের টিআই (প্রশাসন) নাছির উদ্দিন ভঁূইয়া জানান, অযোগ্য চালকদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিবো। শহরের বাইরের সড়কগুলোতে অটোরিক্সা চলাচল করলে যানজট কমে আসতো, আমরা সবাই উপকৃত হতাম। যানজট নিরসনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।