• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কাঁচা মালের দোকানদার ফারুক মৃধার খুঁটির জোর কোথায় এলাকাবাসী জানতে চায়?

চাঁদপুর শহরের বকুলতলা সড়কটি কেটে বিল্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে

পৌর মেয়রের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে প্রতারণা

প্রকাশ:  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহরের ব্যস্ততম ও অতি জনগুরুত্বপূর্ণ বকুলতলা সড়কটির ২ ফুট জায়গা কেটে পেশীশক্তির বলে প্রকাশ্যে আরসিসি পিলারের মাধ্যমে রাতে ও দিনে তড়িঘড়ি করে অবৈধভাবে বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছে ফারুক মৃধা। এ সড়কটি চাঁদপুর পৌরসভা থেকে স্বল্প দূরত্বে রয়েছে। তারপরও পৌর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি অবগত আছেন কিনা তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী জানতে চায়, এ ফারুকের খুঁটির জোর কোথায়? সে পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে প্রতারণা করে অবৈধভাবে পৌরসভার সড়কটি দখল করে তার বিল্ডিংয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনি, পৌর মেয়র আলহাজ¦ নাছির উদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান ও পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএমের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
    এ অবৈধ নির্মাণ কাজ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় এখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। অবৈধভাবে বকুলতলা সড়কের উপর টিন ও রেক্সিন দিয়ে ঢেকে, ভেতরে মাটি কেটে গভীর করছে আরসিসি পিলার করার জন্যে। সে অবৈধভাবে পৌরসভার আইন ভেঙ্গে ও অমান্য করে রাস্তা থেকে ৩ ফুট ছেড়ে না দিয়ে সড়কের উপরই বিল্ডিং নির্মাণের কাজ করে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পৌরসভার রাস্তার মাটি ফারুক মৃধা বেড়া দিয়ে ঢেকে কাটছে এ ছবি তুলতে গেলে ফারুক মৃধা সন্ত্রাসী কায়দায় এ প্রতিবেদকের ওপর তেড়ে আসে এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা জেলা যুবলীগ নেতা মোঃ সফিকুল ইসলামের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তা না হলে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিলো।
    পৌরসভার মেয়র বকুলতলা সড়কটি দখলমুক্ত করার জন্যে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থাগ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলে বকুলতলা ও পালবাজার ব্যবসায়ীরা জোর দাবি জানান।
    বকুলতলা ও পালবাজারবাসীর সাথে আলাপকালে জানা গেছে, খোদ চাঁদপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এলাকার মধ্যে অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত এ বকুলতলা সড়ক। এখান দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচল ঘটে থাকে। শতাধিক বছরের পুরাতন এ সড়কটির পূর্বের সড়কের ২ ফুট কেটে বর্তমানে সড়কের উপর বিল্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে বলে শত শত এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা অভিযোগ। এ সড়কটি দিয়ে বর্তমানে একটি রিক্সা প্রবেশ করলে বিপরীত দিক থেকে আসা রিক্সা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এখানে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না। মুমূর্ষ রোগীর জীবন রক্ষার্থে অ্যাম্বুলেন্স এ সড়ক দিয়ে প্রবেশ করতে পারে না। একজন মানুষ মারা গেলে সে মানুষটিকে খাটে করে এ সড়কটি দিয়ে নিতে হলে একসাথে চারজন মানুষ হাঁটতে গিয়ে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। সে মানুষের প্রয়োজনে এ বকুলতলা সড়কটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে কি আরো প্রশস্ত করার প্রয়োজন আছে কিনা তা একবার পৌর মেয়রকে ভেবে দেখার জন্যে বকুলতলা ও পালবাজারের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জোর দাবি করা হয়েছে।
    এসব ব্যবসায়ী ও  এলাকাবাসীর জানমালের নিরাপত্তার প্রয়োজনে অগ্নিকা-ের হাত থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘর রক্ষার জন্যে এ সড়কটি দিয়ে নিত্যদিন হাজার-হাজার মানুষের যাতায়াতের প্রয়োজনে সড়কটি পূর্বের চাইতে আরো প্রশস্ত করা একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

সূত্র : চাঁদপুর কন্ঠ