• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

বঙ্গবন্ধু ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ডাঃ দীপু মনি এমপি

বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শ এ দেশের মানুষ বয়ে বেড়ায় তাদের হৃদয়ে

প্রকাশ:  ৩০ আগস্ট ২০১৮, ১২:২৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা গতকাল ২৯ আগস্ট বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাঁদপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবিএম রেজওয়ানের সভাপ্রধানে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাছির উদ্দিন গাজীর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনি। তিনি বলেন, ১৯৮১ থেকে শুরু করে ৯৬ সাল পর্যন্ত সংগ্রাম-লড়াই করে এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু ২৩ বছরের আন্দোলনে প্রথম তৈরি করেছিলেন ছাত্রলীগ। আওয়ামী লীগ জন্মের পূর্বে ছাত্রলীগের জন্ম হয়েছিলো। কাজেই এই ছাত্রলীগ বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশ অর্জনের ইতিহাস। দেশ শাসনে, ভাষা আন্দোলনে, ৬ দফা আন্দোলনে, সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছিলো এই ছাত্রলীগ। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ যখন স্বাধীন হলো, দেশ এগিয়ে যাচ্ছিলো, ঠিক সেই সময় ’৭১-এর পরাজিত শত্রুরা মাথাচাড়া দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো। কী কারণে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো? তার পরিবারকে এমনকি শিশু পুত্রকে কেনো হত্যা করা হলো? তার কারণ একটি, তারা শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তকে ভয় পায়। তারা শেখ মুজিবুর রহমানের চেতনাকে ভয় পায়, তারা শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ভয় পায়। তাই তারা শেখ মুজিবুর রহমানের বংশকে নির্বংশ করতে চেয়েছিলো। তারা ভেবেছিলো বাঙালি জাতির পিতাকে নির্বংশ করে এই দেশ থেকে তাঁর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলবে। কিন্তু শেখ মুজিবের চেতনা, আদর্শ এদেশের মানুষ এখনো বয়ে বেড়ায় তাদের হৃদয়ে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা সেই সময় দেশে না থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরে এলেন, তখন বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়িতে যেতে দেয়া হলো না। ’৭১-এর পরাজিত শত্রুরা সেই সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলো। আমরা গবেষণা করে দেখেছি, বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের শাসনে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি, যতোগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছিলো সেইসব সিদ্ধান্ত যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। বঙ্গবন্ধু ভালো প্রশাসক ছিলেন না সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যেভাবে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যার পূর্বে বৃটিশ সরকার অপপ্রচার করেছিলো, সিরাজউদ্দৌলা ভালো প্রশাসক না। যদি সরকার পরিবর্তন করার প্রয়োজন থাকতো তাহলে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করা হলো না কেনো। কারণ তারা গণতন্ত্রে বিশ^াস করে না।
    সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফরিদগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া, জেল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতাউর রহমান পারভেজ, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ পারভেজ রনি, আশিকাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, বাগাদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোশারফ খাান, বালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ তালুকদার, ইব্রাহীমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হোসাইন গাজী, শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম হাসান, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, কল্যাণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সুমন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন মৃধা, রাজরাজেশ^র ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন সরকার প্রমুখ।

সূত্র : চাঁদপুর কণ্ঠ।

   

সর্বাধিক পঠিত