• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

জেলায় আড়াই হাজারের অধিক নারীকে কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল প্রদান করা হবে

প্রকাশ:  ২৯ আগস্ট ২০১৮, ০৯:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বর্তমান সরকার সারাদেশে কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ কর্মসূচি চাঁদপুর জেলায় বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমানকে সভাপতি ও জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মহিউদদ্দিন আহমেদকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির মাধ্যমে উপকারভোগী যাচাই-বাছাইকরণ চলছে বলে জানা গেছে। উপজেলাধীন পৌরসভার স্থায়ী দরিদ্র কর্মজীবী গর্ভবতী বা দুঃস্থ নারী-মা বা প্রতিবন্ধী মা শুধুমাত্র ১ম ও ২য় গর্ভকালীন সন্তানের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাওয়ার জন্যে আবেদন করতে পারবেন।
    সম্প্রতি এক তথ্যে জানা যায়, সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের সনদ অনুযায়ী ৭ মাসের গর্ভবতী থেকে শুরু করে দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী দুগ্ধদায়ী মা এ উপকারগ্রহণে অগ্রাধিকার পাবে। তবে এক্ষেত্রে তার বয়স ২০ ও পরিবারের মাসিক আয় হতে হবে ৫ হাজার টাকা বা এর কম। এজন্যে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র নিয়ে ওই কাউন্সিলরের নিকটই আবেদন সমাপ্ত করতে হবে। পরে আবেদনকারীর তথ্য যাচাই-বাছাই করে একটি নির্দিষ্ট তালিকা করে কাউন্সিলর তা পৌর মেয়রের নিকট প্রদান করবেন। তবে ১ম সন্তান মাতৃগর্ভে থাকাকালীন অবস্থায় বয়স ৭ মাসের কম হলে অথবা একই মায়ের ৩য় সন্তানের ক্ষেত্রে এ সুবিধার জন্যে আবেদন করতে পারবেন না। যারা উপাকরভোগী হিসেবে নির্বাচিত হবেন তাদের শিশু সন্তান জন্মানোর পর মারা গেলেও তার মা অথবা মা মারা গেলে ওই শিশুর বৈধ অভিভাবক নির্ধারিত সময় সমাপ্তি পর্যন্ত ভাতা পেতে থাকবে।
    জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, নতুন বাজেটে হাইমচর বাদে চাঁদপুর সদরে ৮শ, ফরিদগঞ্জে ৩শ’, মতলব (উঃ), মতলব (দঃ) ও কচুয়ায় সাড়ে ৩শ’, শাহারাস্তি ও হাজীগঞ্জে ৪শ’ জন করে মোট ২ হাজার ৯শ’ ৫০ জনকে উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচন করা হবে। যেখানে পূর্বে প্রতিমাসে ৫শ’ টাকা করে ৬ মাস পর পর একসাথে ৩ হাজার টাকা করে ২ বছর পর্যন্ত ভাতাসুবিধা দেয়া হতো। বর্তমান সরকার ২০১৮-এর জুন মাসে পূর্বের অর্থ বছরের বাজেট শেষ হওয়ায় নতুন অর্থ বছরের বাজেটে এ উপকার তহবিলের সহায়তা আরো ১ বছর বাড়ানোর কথা জানানো হয়।
    তিনি আরো জানান, পূর্বের উপকারভোগী সহায়তার পরিমাণ ৫শ’ টাকা থেকে ৮শ’ টাকা করে পূর্বের নিয়মে ৬ মাস পর পর মোট ৪ হাজার ৮শ’ টাকা প্রত্যেক নির্বাচিত নারীকে প্রদান করা হবে। এ সুবিধা জীবনে ১ নারী একবারই পাবেন। তবে কোনো কাউন্সিলরের স্বজনপ্রীতি করে নিয়ম লঙ্ঘন করার বিষয় যদি প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
    বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর থেকেই সুবিধাবঞ্চিত নারীদের নিয়ে কাজ করে চলেছেন। সরকারের এমন উন্নয়ন কর্মকা- সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জনসাধারণের মাঝে সঠিকভাবে পৌঁছে দিয়ে সরকারের উন্নয়নের সুনাম অব্যাহত রাখবেন এমনটাই চাঁদপুরের সচেতনদের প্রত্যাশা।

সর্বাধিক পঠিত