চাঁদপুরে সোনালী আঁশ, পাট সংগ্রহে ব্যস্ত কৃষক-কৃষানীরা
বাংলাদেশের সোনালী আঁশ, পাট সংগ্রহে ব্যস্ত চাঁদপুরের কৃষক-কৃষানীরা। প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে গ্রাম অঞ্চলে এ পাট সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত থাকেন কৃষকরা। এ পাট দীর্ঘদিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে তা পঁচে যাওয়ার পর গাছ থেকে সোনালী আঁশ পাট সংগ্রহ করেন।
গত কয়েকদিনে চাঁদপুরের বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে ঘুরে দেখা যায় বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, নারী-পুরুষ মিলে রাস্তার পাশে বসে কিংবা বাড়ির উঠোনে বসে পাট সংগ্রহ করছেন। কয়েকজন কৃষক-কৃষানীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, তারা দুই জাতের পাট গাছ চাষ করে থাকেন। একটি হচ্ছে বগি পাট, অন্যটি সুতি পাট। এ দুই ধরনের পাটই বেশি চাষ হয়ে থাকে বলে তারা জানান।
এক সময়ে এদেশের প্রধান অর্থকারী ফসল সোঁনালী আঁশ হিসাবে খ্যাত ছিলো এ পরিবেশ বান্ধব পাটের চাষ। কৃষকরা এ পাট চাষ করে একসময় অনেক বিদেশী অর্থ উপার্জন করতো । এ জন্য বাংলাদেশে পাট চাষের প্রতি কৃষকদের অনেক আগ্রহ ছিলো। কিন্তু আগের তুলনায় এখন কৃষকরা যেনো পাট চাষের প্রতি দিন দিন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে । এর কারন হলো আগে পাটের যে মূল্য ছিলো এখন আর সে মূল্য পাওয়া যায়নি। আগে একমন পাট বিক্রি হতো ১৭ থেকে ১৮’শ টাকা। আর এখন একমন পাট ১২’শ থেকে ১৩ টাকা বিক্রি হয় বলে কৃষকরা জানায়। তবুও এটি আজো বাংলাদেশের সোনালী আঁশ হিসেবে পরিচিত। আর এই সোনালী আঁশ সংগ্রহ করতে পেরে কৃষকদের মুখেও হাসি ফুটে উঠছে। কিন্তু আগের দিনে পাট চাষের প্রতি কৃষকদের যে আগ্রহ ছিলো এখন দিন দিন পাট চাষের প্রতি সে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে চাষিরা।