১৬ মতলব উত্তরে আওয়ামী লীগের দু পক্ষের সংঘর্ষ
মতলব উত্তরে আওয়ামী লীগের মোটর শোভাযাত্রায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার আমুয়াকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছেন : উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন মোল্লা, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ প্রধান, স্থানীয় গৃহিণী শিপাঙ্গ রাণী, রাজ ও আকলিমা। আহতদের মধ্যে তিনজন ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- সাধারণ জনগণের মাঝে তুলে ধরা এবং আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে প্রচারণার লক্ষ্যে মোটর শোভাযাত্রার অনুমতি চান চাঁদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খোকা পাটওয়ারী। কিন্তু একইদিন মতলব উত্তরের নন্দলালপুর, কালিপুর, ছেঙ্গারচর, নয়াবাজার, মোহনপুর, আমুয়াকান্দা বেড়িবাঁধসহ থানা এলাকায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভার কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ কারণে মনোনয়ন প্রত্যাশী খোকা পাটওয়ারীকে মোটর শোভাযাত্রা করার অনুমতি দেয়া হয়নি। এদিকে খোকা পাটওয়ারী মোটর শোভাযাত্রা বের না করলেও শুক্রবার সকাল ১১টায় ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর সমর্থকরা মোটর শোভাযাত্রা বের করে। ওই শোভাযাত্রা আমুয়াকান্দা গ্রাম এলাকায় যাওয়ার পর ‘ধর-মার’ স্লোগান দেয়ার এক পর্যায়ে আমুয়াকান্দা গ্রামের মনোনয়ন প্রত্যাশী খোকা পাটওয়ারীর সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান নিলে দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মন্ত্রী মায়া চৌধুরীর সমর্থক মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ মঞ্জু ফাঁকা গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। এ সময় অন্তত ৫ জন আহত হন। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ মঞ্জু বলেন, আমি একটি কুলখানি অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে দেখি খোকা পাটওয়ারীর লোকজন ছেঙ্গারচর পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম জর্জসহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করছে। এ অবস্থায় আমি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ফাঁকা গুলি ছুড়ি। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক চাঁদপুর-২ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী আমিরুল ইসলাম খোকা পাটোয়ারী বলেন, আমি গত একমাস আগে মোটর শোভাযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করি। কিন্তু ত্রাণমন্ত্রী ও তার ছেলের লোকজন আমাকে কোণঠাসা করে রেখেছে। ফলে আমি শোভাযাত্রা নিয়ে বের হইনি। মারামারি হামলা এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক কামাল বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
সূত্র : চাঁদপুর কণ্ঠ