• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

রোটারী ভিন্ন কিছু করতে চায়

প্রকাশ:  ০৩ জুলাই ২০১৮, ২২:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

সেবা স্বার্থের উধ্বে এ শ্লোগানকে ধারণ করে গত ১ জুলাই নতুন রোটারী বর্ষে (২০১৮-১৯) ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চাঁদপুর রোটারী ক্লাব। ক্লাব সভাপতি রোটারিয়ান অ্যাডঃ সাইয়েদুল ইসলাম বাবু তাঁর বক্তব্যে বলেন, রোটারী ভিন্ন কিছু করতে চায়। এ চিন্তা চেতনায় রোটাবর্ষের প্রথম দিনটি উদযাপিত হলো সেবামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে। রোটারি ইন্টারন্যাশনাল-৩২৮২ ডিস্ট্রিক্টের আওতায় তৃতীয় রোটারি ক্লাব চাঁদপুর রোটারি ক্লাব। নতুন দিনের সূচনায় অটিজম বা অটিস্টিক শিশুদের জন্য চাই সংবেদনশীল মনোভাব ও গণসচেতনতা এই লক্ষ্যে দিনটিতে তাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে উদযাপন করে।অটিস্টিক শিশুরা রোটাবর্ষের উদযাপন কেক কেটে,কবিতা আবৃতি,অভিনয়,নাচ ও গান গেয়ে কিছু সময় আনন্দে কাটায়। অনুষ্ঠানে ৫০ জন অটিস্টিক শিশু ও শিশুদের অভিভাবক এবং রোটারিয়ানগন উপস্হিত ছিলেন। অস্টিটিক শিশুদেরকে চাঁদপুর রোটারি ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে একটি স্মারক মগ ও দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়।
একটি পরিবারে যখন একটি অটিস্টিক শিশু থাকে সেই পরিবারকে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে জীবনযাপন করতে হয়। সেই পরিবারের মা-বাবার এবং সব সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক কষ্ট একটি স্বাভাবিক পরিবারের সদস্যদের ধারণার বাইরে থাকে। অটিজম শিশুটি বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার মা-বাবাকেও পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ, সহ্য করতে হয় নানা বৈষম্য।ফলে ওই পরিবারের বিশেষ শিশুটি বঞ্চিত হয় স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে। পথেঘাটে, যানবাহনে, স্কুলে অটিজম শিশু ও তার বাবা-মা প্রতিদিনয-প্রতিনিয়ত নানা কটুক্তি,অসহ্যকর মন্তব্য ও উপহাসের পাত্র হন।আমরা অনেকেই অটিজম শিশুকে অন্য চোখে দেখি। নানা ধরনের কটুক্তি,অসহ্যকর মন্তব্য করে ওইসব অটিজম শিশু ও তার পরিবারকে হেয় করি। এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করা উচিত। আন্তরিকতা,ভালোবাসা,সহযোগিতা,ধৈর্য দিয়ে এই শিশুদের জন্য কাজ করে গেলে,কিছুটা হলেও স্বাভাবিক জীবনযাপনের দ্বার প্রান্তে পৌঁছাতে পারবে অটিজম শিশুরা।

সর্বাধিক পঠিত