একটা মিথ্যুক মেয়েকে তো আমরা পাঠাতে পারি না: স্বপন চৌধুরী
অন্তর শোবিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরে শোবিজ অঙ্গনের নানা আয়োজনের সাথে যুক্ত তিনি। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ের বিতর্কিত ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা’র আয়োজক তিনি।
কেমন আছেন?
আলহামদুলিল্লাহ। সব মিলিয়ে ভালো আছি।
‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ আয়োজনের পর এখন ব্যস্ত কী নিয়ে?
‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর আনুষ্ঠানিক সকল কার্যক্রম শেষ। এখন যে মূল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে, বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে প্রতিনিধিত্ব করবে তাকে প্রস্তুত করছি। গ্রুমিং চলছে, তার কিছু সমস্যা ছিল সেগুলো ঠিক করছি। বিশেষ করে জেসিয়ার দাঁতের যে সমস্যাটা ছিল, সেটা ঠিক করছি। আমরা তো একটা মেয়েকে এভাবে পাঠাতে পারি না। সব মিলিয়ে তাকে নিয়ে আর আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে আমার বর্তমান ব্যস্ততা।
জেসিয়াকে চীনে পাঠাবেন কবে?
আগামী ১৯ অক্টোবর তাকে চীনে পাঠাবো। তার আগেই সে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করবে।
‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে আপনি নানা আয়োজনের সাথে যুক্ত। বেশিরভাগ আয়োজন নিয়েই আপনি বিতর্কিত। এ প্রসঙ্গে কী বলবেন?
আমি এই কাজের সাথে যুক্ত প্রায় ২৬ বছর ধরে। আমিই এদেশে প্রথম শোবিজ প্রতিষ্ঠান চালু করেছি। এতদিন পর্যন্ত অনেক বড় বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। একটু ভুল-ভ্রান্তি হতেই পারে। একটা মেয়ে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে বিশ্বের দরবারে যাবে, একটু আধটু ভুল হলেও সবার উচিত পজেটিভ নিউজ করা। তবে প্রথম আয়োজন হিসেবে আমরা অনেকখানি সফল। দেশটা এক ইস্যুতেই অশান্ত হয়ে গেছে। আমি যদি কাউকে চ্যাম্পিয়ন বানাতে চাইতাম তাহলে এত বড় বড় বিচারকদের ডাকতাম না। রাস্তা থেকে কাউকে ধরে আনলেই পারতাম! আমি চেয়েছি দেশের জন্য নতুন কিছু করতে, ভালো কিছু করতে।
বিতর্কের নেপথ্যে বাছাই প্রক্রিয়ায় কি কোনো ভুল ছিল বলে মনে করেন?
বাছাই প্রক্রিয়ায় আসলে যেসব শর্ত আছে সেসব শর্ত মেনেই তাদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তারা যে তথ্য দিয়েছে সেই যোগ্যতার ভিত্তিতেই আমরা তাদের সিলেক্ট করেছি। তারপর তো নানা পর্যায়ের বিচারকরাই তাদের বের করে আনলেন। এ পর্যন্ত এলো বিষয়টা। এখন দেখুন, মিস ওয়ার্ল্ডে যেসব বিষয় চাওয়া হয়েছে আমরা সেসব বিষয়ই যাচাই করবো। শর্তের বাইরে গিয়ে একটা মেয়ে মাস্টার্স পাস লিখেছে, সেটা আমরা যাচাই করতে যাব না। ওদের হাইট ঠিক আছে কি-না, ওদের ওয়েট ঠিক আছে কি-না, ওদের যে মিনিমাম ট্যালেন্ট তা ঠিক আছে কি-না আমরা সেটা জানতে চাইবো। কিন্তু যখন জানলাম, একটা মেয়ে আমাদেরকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে তারপর তো আমরা পুরো বিষয়টা সমাধান করলাম। একটা মিথ্যুক মেয়েকে তো আমরা পাঠাতে পারি না।
‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
এবার প্রথম আয়োজন ছিল, অনেক ভুল-ত্রুটি ছিল। এবারের ভুল থেকে অনেককিছু শিখেছি। আগামী আসর থেকে আর কোনো ভুল হবে না। তবে প্রথম আয়োজন হিসেবে আমরা অনেকখানি সফল। আমরা ৬ বছরের জন্য এ আয়োজনের অনুমতি পেয়েছি। এবার হাতে খুব অল্প সময় ছিল, তাই কিছু ভুল-ত্রুটি হয়েছে। আগামীতে বছরের প্রথম থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু করবো। বিভাগীয় শহর থেকে সেরা সুন্দরী নির্বাচন করবো। এরপর সব বিভাগের প্রতিযোগীদের নিয়ে ঢাকায় চূড়ান্ত রাউন্ড ও গ্র্যান্ড ফিনালে আয়োজন করবো।