নিউইয়র্কে ম্যাসেজ পার্লার থেকে বাংলাদেশি বধূ গ্রেফতার
নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে ৭৫ স্ট্রিটে ‘ওষি স্পা জোন্স’ তথা ম্যাসেজ পার্লারে অভিযান চালিয়ে আরও কয়েকজনের সঙ্গে এক বাংলাদেশি বধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশি অধ্যুষিত জনপদে এই ম্যাসেজ পার্লারে শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশের অভিযান পরিচালিত হয়। স্পা তথা ম্যাসেজ পার্লারে বেআইনী কাজ-কর্ম চলার অভিযোগ পেয়েই এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ। ভারতীয় মালিকানাধীন এ পার্লারে বেশ ক’জন বাঙালি নারীও কাজ করেন।
কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নীর অফিস থেকে এ সংবাদদাতাকে জানানো হয়েছে যে, ৩৭-৪০ ৭৫ স্ট্রিটের ওই অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন জিনাত রেহানা নামের এক বাংলাদেশি বধূ। তার বয়স ৩৩ বছর। পরদিন তাকে জামিন প্রদান করেছেন কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টের জজ গুয়ারিনো।
তবে তাকে ৩ নভেম্বর আদালতে হাজির হতে হবে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে, প্রচলিত রীতি অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়াই এই পার্লারে কাজ করছিলেন ম্যাসেজ থেরাপিস্ট হিসেবে। স্বামীর সাথে নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর সম্প্রতি স্বামীকে ত্যাগ করেন জিনাত রেহানা। এর আগে আরেকবার বিয়ে হয়েছিল জিনাতের এবং তার একটি সন্তানও রয়েছে বাংলাদেশে।
এর আগেও জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, এলমহার্স্ট, ফ্লাশিংসহ বিভিন্ন স্থানের বেশ কটি বিউটি পার্লার/ম্যাসেজ পার্লার/স্পা-তে পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল। সে সময়েও গ্রেফতার হয়েছিলেন ৬ বাংলাদেশি। অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকায় কোন কোন পার্লারে পুলিশ তালাও ঝুলিয়ে দিয়েছে।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে যে, নিউইয়র্ক সিটির বিশেষ কয়েকটি এলাকায় একদল বখাটে যুবকের খপ্পরে পড়ে অনেক তরুনী গৃহিনী সংসার ছেড়ে বিভিন্ন ম্যাসেজ পার্লারে ঢুকেছেন। এমন নারীদের কেউ কেউ স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন এবং স্বামীকে তাদের কাছে যেতে নিষেধাজ্ঞা নেয়ার তথ্যও জানা গেছে।
অর্থাৎ নির্যাতিতা মহিলা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের প্লট করতে ওই যুবকেরা এমন মদদ দিলেও পরবর্তীতে এসব মহিলার প্রায় সকলেই বিপথ থেকে আর ফিরতে পারেননি বলেও জানা যাচ্ছে। কারণ, কোন কোন পার্লারে অনৈতিক কাজের সময় ভিডিওতে তা ধারণ করে রাখা হয়েছে।
এ হুমকিতে অসহায় রমণীরা কিছু অর্থের লোভে সংসার ত্যাগ করে অন্ধকারের চোরাগলিতে হাবুডুবু খাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রেফতার হওয়া তরুনী বধূর প্রায় সকলেই স্বামী ছেড়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে দিনাতিপাত করছেন। এ অবস্থায় কম্যুনিটির মধ্যে এক ধরনের হতাশা বিরাজ করছে। স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় এসে এমন ভয়ংকর পথে পাড়ি জমানোর প্রবণতা কীভাবে রোধ করা যায়, তা নিয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজন।