• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

এমপিপুত্রের জোড়া খুনে এক সাক্ষীর দুই রকম জবানবন্দি

প্রকাশ:  ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ২১:০৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

রাজধানীর ইস্কাটনে জোড়া খুনের মামলার সাক্ষী এমপি পুত্র বখতিয়ার আলম রনির গাড়িচালক ইমরান ফকির আদালতে দুই রকম জবানবন্দি দিয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকা মাহানগর হাকিম আদালতের বিচারকের কাছে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় বলেছেন, হঠাৎ তিনি (রনি) কিছু না বলে পিস্তল বের করে ৪/৫ রাউন্ড গুলি করে।আমি কিছুই বুঝতে পারি নাই। তার কিছুক্ষণ পর রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেলে আমি টান দিয়ে চলে যাই।  

কিন্তু রোববার সাক্ষী দিতে এসে ইমরান ফকির জবানবন্দিতে বলেন, সোনারগাঁও হোটেল থেকে মগবজার মোড় ঘুরে বাংলামোটরের দিকে যাই। আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম। এক সাইডে রাস্তা বন্ধ ছিল। রনি সাহেব আমার পাশের ছিটে বসা ছিল। সামনে একটা ট্রাক ছিল। রনি সাহেবের হাতে পিস্তল ছিল। আমি পিস্তলের আওয়াজ পাই। পরে আমি গাড়ি চালিয়ে চলে যাই। রবিবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু সালেহ সালাউদ্দিন সাক্ষীর এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।  

আদালতের পেশকার মো. শামীম আহম্মেদ জানান, সাক্ষ্য শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী গাড়ীচালক ইমরান ফকিরকে জেরা করেন। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১২ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন বিচারক। এ মামলায় ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে সামান্য যানজটে পড়ে উত্তেজিত হয়ে প্রাডো গাড়ি থেকে নিজের লাইসেন্স করা অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনি। এ ঘটনায় আহত হন অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী ও রিকশাচালক আবদুল হাকিম। পরে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপরে নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে ১৫ এপ্রিল রাতে রাজধানীর রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনার তদন্ত করে ২০১৫ সালের ২১ জুলাই রনিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক দীপক কুমার দাস।