• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত খুনের নেপথ্য ফেসবুক পোস্ট

প্রকাশ:  ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ০১:৫৯ | আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ০২:৫৩
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রিন্ট

রাজনৈতিক নেতাকে উদ্দেশ্যে করে দেয়া ফেসবুক পোস্ট এবং মন্তব্য কাল হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসের। এর জের ধরেই খুন হয়েছে মেধাবী এ ছাত্র নেতা। খুনের প্রাথমিক তদন্তে এ বিষয়টা নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। একই সাথে এ খুনের নেপথ্যে থাকা কয়েকজনের নামও এসেছে পুলিশের তদন্তে। যার মধ্যে একাধিক যুবলীগ নেতার নামও রয়েছে।

কোতোয়ালী জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সুদীপ্ত বিশ্বাস রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট বলে খুনের তদন্তে দলীয় কোন্দলকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে এ খুনের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তির নাম এসেছে। এ নামগুলো যাচাই বাছাই করছি। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস খুনের চারটি বিষয়কে সামনে নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। এর মধ্যে ফেসবুক পোস্টকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। কিছুদিন ধরে কয়েকজন সিনিয়র নেতার ফেসবুক পোস্টে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। একই সাথে তার ফেসবুক আইডি থেকে সিনিয়র নেতাদের উদ্দেশ্য করে পোস্ট দিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সুদীপ্তের দেয়া পোস্ট ও মন্তব্যে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন ওই সিনিয়র নেতারা। তাই তারা নেপথ্যে থেকে এ খুন করিয়েছেন। এ খুনের বাকি কারণগুলো হচ্ছে সিটি কলেজের সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্ব, কলেজে আধিপত্য বিস্তার এবং সিটি কলেজ কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার পর থেকে এ খুনের নেপথ্য কারণ খুঁজে বের করতে মাঠে নেমেছে পুলিশের একাধিক দল। প্রাথমিক তদন্তে রাজনৈতিক কারণে সুদীপ্ত খুন হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফেসবুকে বিভিন্ন নেতাকে উদ্দেশ্য করে দেয়া রাজনৈতিক পোস্ট এবং কয়েকজন নেতার পোস্টে আক্রমাত্বক রাজনৈতিক মন্তব্য করায় খুন হয়েছেন সুদীপ্ত এমন ধারণা করছে পুলিশ। এ খুনের সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে তদন্তে। যাদের মধ্যে একাধিক যুবলীগ নেতার নামও রয়েছে। কিছু প্রমাণ হাতে পাওয়া গেছে তাদের গ্রেফতারের আওতায় আনা হবে।

অজ্ঞতনামাদের আসামী করে মামলা ।ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস খুনের ঘটনায় অজ্ঞতনামা কয়েকজন আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে নিহতের বাবা বাবুল বিশ্বাস বাদি হয়ে নগরীর সদরঘাট থানায় মামলাটি দায়ের করেন। কোতোয়ালী জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শুক্রবার রাতে সুদীপ্তের বাবা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞতনামাদের আসামি করা হয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয় দু'জন সুদীপ্তকে ডেকে আনেন। সাত-আট জন মিলে তাকে হত্যা করেন।