• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চীনের ওয়ান বেল্টে বাংলাদেশ, ভারতের তীব্র ঝাঁকুনি

প্রকাশ:  ০৭ অক্টোবর ২০১৭, ২১:৪২
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট

চীনের ওয়ান বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার কথা দিল্লিতে জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। রাশিয়ার মিডিয়া স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল এ খবর দিয়ে বলছে, এতে ভারত তীব্র এক ঝাঁকুনি খেয়েছে। কারণ চীনের ওয়ান বেল্ট এন্ড রোড’এর ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের এ উদ্যোগে ৬৫টি দেশ ও বিশ্বের ৭০ ভাগ মানুষ সম্পৃক্ত হলেও ভারত তার অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্খার জন্যে এক চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করে। এ উদ্যোগের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছে ভারত।

কিন্তু দিল্লিতে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামে শহীদুল হক যথার্থই বলেছেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম অনেক বেশি সংযোগ ও আন্তর্জাতিক একত্রীকরণ চায়। আমাদের যা দরকার তা অবকাঠামোর দ্রুত উন্নয়ন ও অনেক বেশি মিথস্ক্রিয়া। কারণ অর্থনৈতিক বিষয়গুলো এখন নির্ধারণ করে সার্বভৌমত্ব কতটা কাজে লাগবে।

পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাফ বলে দিয়েছেন, বাংলাদেশ ভৌগলিকভাবে ক্ষুদ্র একটি দেশ হলেও এধরনের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে বাকি বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে সরকার নির্বিশেষে রাষ্ট্রীয় বিবেচনায় চীনের ওয়ান বেল্ট এন্ড রোডে যোগ দেয়া খুবই মৌলিক একটি বিষয়।

চীনের এ প্রকল্প কাশ্মীরের যে অঞ্চল দিয়ে এগিয়ে যাবে তা পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ভারত তা নিজের বলেই দাবি করে। এর আগে চীন শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের মত বাংলাদেশেও তা করে দিতে চাইলে ভারতের অনিচ্ছায় প্রকল্পটি থমকে আছে। সর্বশেষ ওয়ান বেল্টে ভারতের সহযোগী ও প্রতিবেশি বাংলাদেশের সমর্থন সহজে নিতে পারছে না ভারত।

চীনের ওয়ান বেল্ট উদ্যোগে একটি মাত্র সড়কের সঙ্গে ৬৫টি দেশ এক অভিন্ন বাণিজ্যিক করিডোরে যুক্ত হতে চললেও ভারতের কাছে তা কৌশলগত ঘেরাওয়ের মধ্যে আটকে যাওয়ার মত ব্যাপার। নেপাল ইতিমধ্যে ওয়ান বেল্টে যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে। ভারতের পশ্চিমে ও পাকিস্তানের উত্তরে চীনের ওয়ান বেল্ট প্রকল্প কাশ্মীরকে স্পর্শ করেই এগিয়ে যাবে। যার একটি অংশ চীন-পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডোরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।

ভারত একে দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এধরনের অবকাঠামো উন্নয়নের প্রভাবকে দুর্ভাগ্যজনক বিনিয়োগ ও নব্য-ঔপনিবেশিক নির্ভরতা এবং সম্ভাব্য রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা হিসেবেই দেখছে। ভারত এও মনে করেন চীনের এ মহাউদ্যোগ তার আঞ্চলিক রাজনৈতিক আকাঙ্খাকে বিনষ্ট করবে।

বাংলাদেশ সার্বভৌমত্বের বিষয়টি ভিন্ন আঙ্গিকে দেখেই ওয়ান বেল্টে যোগ দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাও পরিস্কারভাবে বলেছেন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততায় জড়িত হওয়ার অদম্য আকাঙ্খাকে ধারণ করেই শেখ হাসিনার সরকার চীনের এ উদ্যোগে শামিল হয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত