যেভাবে ৩৩ নারীকে বিয়ে করেছেন গোপালগঞ্জের এক যুবক
প্রেমের অভিনয় করে গ্রামের নিরীহ নারীদের বিয়ের ফাঁদে ফেলে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে সান্টু সরদার কালাম নামে এক যুবককে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহৃত এক তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। অপহরণের এক মাস পর অপহৃত তরুণীকে ঢাকা থেকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার সকালে অপহৃত ওই তরুণীকে (১৬) ও অপহরণকারী সান্টু সরদার কালামকে নিয়ে আসা হয় আগৈলঝাড়ায়। অপহরণকারী কালাম আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা গ্রামের মোহম্মদ সরদারের ছেলে।
অপহরণ ও প্রেমের ফাঁদে ফেলে এই পর্যন্ত ৩৩টি বিয়ে করেছেন কালাম। তবে বিয়ের দুই তিন মাস পরই স্ত্রীরা তাকে ছেড়ে চলে যায় বলে জানায় পুলিশ। এভাবে তিনি অনেক নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলেও ভাষ্য পুলিশের।
উদ্ধার ওই তরুণী গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কালারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর ফুফুর বাড়ি যাওয়ার পথে উপজেলার পয়সারহাট লোকাল বাসস্ট্যান্ড থেকে তরুণীকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় তরুণীর বাবা অপহরণকারী কালামসহ ৫ জনকে আসামি করে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহিদুল ইসলাম পূর্বপশ্চিমকে জানান, প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শুক্রবার রাতে ঢাকার ভাটারা থানার কুড়িল এলাকার মিয়াবাড়ি মসজিদ রোডের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী সান্টু সরদার কালামকে গ্রেফতার করা হয়।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর ফুফুর বাড়ি যাওয়ার পথে পয়সারহাট লোকাল বাসস্ট্যান্ড থেকে দুই সহযোগীর মাধ্যমে ওই তরুণীকে অপহরণ করেন প্রতারক কালাম। অপহরণকারী কালাম একজন তান্ত্রিক ফকির। প্রতারণার ফাঁদে ফেলে এই পর্যন্ত ৩৩টি বিয়ে করেছেন। তবে বিয়ের দুই তিন মাস পরই তাকে ছেড়ে চলে যান স্ত্রীরা। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কালাম ৬টি বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন।
ওসি আরো জানান, অপহরণ করে হত্যার ভয় দেখিয়ে ঢাকার একটি নির্জন বিলে বাসা ভাড়া নিয়ে নারীদের আটকে রেখে ধর্ষণ করেন কালাম। কালামের হাতে নির্যাতনের শিকার এই তরুণী। তার শরীরে নির্যাতনের চিহৃ রয়েছে। তরুণীকে ধর্ষণ সংক্রান্ত পরীক্ষার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।