• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শান্তিতে নোবেলের অংশীদার বাংলাদেশের দুই সংগঠনও

প্রকাশ:  ০৭ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

এবারে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার অংশীদার হয়েছে বাংলাদেশের দুটি বেসরকারি সংগঠন। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ প্রচারাভিযানের (আইসিএএন) অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশি সংস্থা বাংলাদেশ অধ্যয়ন কেন্দ্র (সিবিএস) ও ফিজিশিয়ান ফর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির নাম রয়েছে।

তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) একটি জোট হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয় দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার ওয়েপনস (আইসিএএন)।

আইসিএএনের ওয়েবসাইটে নিজেদের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছে, বিশ্বের ১০১টি দেশের ৪৬৮টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নিয়ে এ জোট গঠন করা হয়েছে। এর সব কটি সংগঠন মিলেই পরমাণু অস্ত্রবিরোধী প্রচারাভিযান চালায়।

শত শত এনজিওর এই জোট প্রায় ১০ বছর ধরে শতাধিক দেশে কাজ করছে। জেনেভাভিত্তিক এই গোষ্ঠী অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম কাজ শুরু করে। ২০০৭ সালে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভিয়েনায় কাজ শুরু করে।

বাংলাদেশি সংগঠন দুটির মধ্যে সিবিসি ২০১৪ সাল থেকে আইসিএএনের সদস্য ও ফিজিশিয়ান ফর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ২০০৬ থেকে ওই জোটের সদস্য হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশে পরমাণু অস্ত্রের ক্ষতিকারক দিক নিয়ে এই দুটি সংগঠন নানা ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।

পরমাণু অস্ত্র ও আণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষতিকারক দিক নিয়ে বাংলাদেশ অধ্যয়ন কেন্দ্র নামের ওই ট্রাস্টি সংগঠনটি কাজ করছে। সংগীতশিল্পী ও অ্যাকটিভিস্ট অরূপ রাহীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি ২০১২ সাল থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। পরমাণু অস্ত্রের ক্ষতিকারক দিক নিয়ে তারা সেমিনার, প্রচার ও পুস্তিকা প্রকাশ করে আসছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংগঠনটির প্রধান কার্যালয় অবস্থিত।

ফিজিশিয়ান ফর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান বলেন, ‘আমাদের মূল কাজ পরমাণু অস্ত্রের ক্ষতিকারক দিক নিয়ে মানুষকে সচেতন করা। এ ছাড়া তারা রোগী ও চিকিৎসক সম্পর্ক, জনস্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে নিয়মিত সভা ও সেমিনার করেন।’

এ ব্যাপারে অরূপ রাহী বলেন, নোবেল পুরস্কার কোনো অবিসংবাদী পুরস্কার নয়। কিন্তু শান্তির পক্ষে, পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার জন্য আইসিএএনের নোবেল প্রাপ্তি বিশ্বকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার বৈশ্বিক আন্দোলনে যে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে—এতে কোনো সন্দেহ নেই।