• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

রোহিঙ্গাদের নাস্তিক বানানোর চেষ্টা চলছে: আল্লামা শফী

প্রকাশ:  ০৭ অক্টোবর ২০১৭, ০৯:২৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নাস্তিক বানানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও দেশের শীর্ষ আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। রোহিঙ্গা নিধনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম এই সমাবেশের ডাক দেয়। সমাবেশটি প্রথমে কক্সবাজারে ডাকা হলেও পরে স্থান পরিবর্তন করে চট্টগ্রামে আনা হয়। সমাবেশে দেশের শীর্ষ আলেমরা বক্তব্য দেন।

সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে হেফাজত আমির বলেন, সময় নাই কিছু বলার, আমিও অসুস্থ।’ রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও নির্যাতন চলছে অভিযোগ করে হেফাজত আমির তাদের জন্য দোয়া করেন। তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহ! রোহিঙ্গা মুসলমানদের তুমি হেফাজত করো। তাদের ছেলে-মেয়ে, পরিবারকে হেফাজত করো। আমাদের ঈমানকে রক্ষা করো।’

সমাবেশে হেফাজত মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর যে নির্যাতন চালানো হচ্ছে তাতে প্রমাণিত হয়, সু চি এখন আন্তর্জাতিক জঙ্গি এবং সন্ত্রাসী। আদালতের কাঠগড়ায় তাকে দাঁড় করাতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমার দাবি, কূটনৈতিক উপায়ে সু চি সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করুন। তা না হলে কূটনৈতিক সর্ম্পক ছিন্ন করুন।’

বাবুনগরী বলেন, ‘জিহাদ ছাড়া উপায় নেই। জিহাদ ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না। আমরা জিহাদের জন্য প্রস্তুত আছি। ১৯৪৮ সাল থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত রোহিঙ্গা মুসলমানরা মিয়ানমারে নির্বাচন করেছে, এমপি, মন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে। তারা যদি ওই দেশের নাগরিক না হয়, তাহলে তারা কীভাবে নির্বাচিত হয়েছে।’ এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার দাবি জানান।

হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, গণহত্যার মধ্য দিয়ে, গণহত্যার শিকার হওয়ার মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া বাংলাদেশের ঐতিহাসিক দায় হচ্ছে গণহত্যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। আমরা গণহত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়েছি, তাই যারা গণহত্যার শিকার হয়েছে তাদের আবেগ-অনুভূতি আমরাই বেশি বুঝবো। ফয়জুল্লাহ বলেন, রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণ করা হবে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনকে বলতে চাই, মসজিদ-মাদ্রাসায় হাত দিলে তা ভেঙে দেয়া হবে।’

সমাবেশে হেফাজত নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, নুর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আব্দুল হামিদ, আব্দুল মালেক হালিম, হাফেজ আতা উল্যাহ, মাহফুজুল হক, সলিম উল্যাহ, জুনায়েদ আল হাবীব, জাফরুল্লাহ খান, সাজিদুর রহমান, মইনুদ্দিন রুহী, মামুনুল হক ও আবুল হাসনাত আমিনী প্রমুখ।