‘অ্যাপ’-এর প্ররোচনায় ছাত্রীর আত্মহত্যা
রাজধানীর হলিক্রস স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। তার নাম অপূর্বা বর্ধন স্বর্ণা (১৪)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নিউ মার্কেট থানার সেন্ট্রাল রোডের ৪৪ নম্বর বাড়ির ৫বি ফ্ল্যাট থেকে তার ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে তার লিখে যাওয়া একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় বলে উল্লেখ করেছে সে।
আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয় রাশিয়ায় তৈরি এমন এক অ্যাপস্ ‘ব্লু-হোয়েল’ (নীল তিমি) ব্যবহার করতো। তা থেকেই সে আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয়েছে বলে ধারণা স্বজনদের। নিহতের পিতা অ্যাডভোকেট সুব্রত বর্ধন ও মা সানি বর্ধনের আবেদনের ভিত্তিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তার আরেক ছোট ভাই রয়েছে।
জানা যায়, নিহত অপূর্বা বর্ধন মেধাবী ছাত্রী ছিল। সে মোবাইলে বেশ আসক্ত ছিল। প্রতিদিনের মতো গত বুধবার রাতে সে ও সমবয়সী কাজের মেয়ে এক কক্ষে ঘুমাতে যায়। অন্যদিন কক্ষের দরজা খোলা থাকলেও গতকাল সে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর সকালে বাসার কাজের মেয়ে ঘুম থেকে উঠেই তাকে ঝুলতে দেখে ভয়ে চিৎকার দেয়। তখনই তার পিতা-মাতা এসে তাকে উদ্ধার করে। নিয়ে যায় ল্যাব এইড হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ময়না তদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডেকেলে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হলে স্বজনরা মামলা ও ময়নাতদন্ত না করার অনুরোধ জানিয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করেন। এরপর সুরতহাল করেই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে এই প্রতিবেদন লেখার সময় পোস্তাগোলায় এক শশ্মানে লাশ সৎকারের প্রস্তুতি চলছিল।
নিউ মার্কেট থানার উপ পরিদর্শক আল মাহমুদ বলেন, নিহত ওই ছাত্রী খুবই মেধাবী ছিল। আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। তবে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয় এমন অ্যাপস থেকেই সে আত্মহত্যায় ও এর কৌশল নির্ধারণে প্ররোচিত হয়ে বলে মনে করছেন তার কয়েকজন আত্মীয়।
নিউ মার্কেট থানারওসি মো. আতিকুর রহমান বলেন, মানবিক বিবেচনায় স্বজনদের আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর হয়েছে।