জ্যামে আটকে দুই কিলোমিটার হেঁটে গেলেন প্রেসিডেন্ট
জ্যামে আটকা পড়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি নতুন কোনো ঘটনা নয়। অন্যদিকে উল্টোপথে বিনা বাধায় দুরন্ত গতিতে ছুটে চলে দেশের ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিদের গাড়ি। তাদের সুবিধার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে আটকা পড়ে থাকতে হয় সাধারণ মানুষদের।
আক্ষেপে অনেকে বলে থাকেন, একবার যদি কর্তাব্যক্তিদের জ্যামে পড়তে হতো, তাহলে সাধারণের কষ্ট কেমন হয়, তারা বুঝতে পারতেন। রাগে-ক্ষোভে প্রায়ই বহু মানুষ জ্যামে আটকা গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা দেন গন্তব্যে।
এবার বাস্তবেই জ্যামে পড়ে গন্তব্যে হাঁটা দিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। বৃহস্পতিবার সামরিক বাহিনীর ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুচকাওয়াজে অংশ নিতে বের হয়েছিলেন তিনি। তবে জ্যামের কারণে তার গাড়ি আর ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। তখনও বাকি দুই কিলোমিটার রাস্তা।
উইদোদোর নিরাপত্তারক্ষী ইলি দাসিলি জানান, জ্যামে আটকা পড়ার ৩০ মিনিট পর প্রেসিডেন্ট গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেন। তবে প্রেসিডেন্টকে একা হাঁটতে হয়নি। দেশটির পুলিশপ্রধান টিটো কারনাভিয়ানও জ্যামে আটকা পড়ে ছিলেন। প্রেসিডেন্টের পিছন পিছন তিনিও হাঁটতে শুরু করেন।
প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে জানানো হয়, সিলেগন শহরে সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে বের হওয়ার পর পথে জ্যামে আটকা পড়ার কারণে উইদোদো এবং জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের আড়াই ঘণ্টা সময় লেগেছে। তার মধ্যে দুই ঘণ্টা তারা হেঁটেছেন। প্রেসিডেন্টের হেঁটে যাওয়ার গল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তা ভাইরাল হয়ে পড়েছে। অনেকেই পক্ষে বিপক্ষে মতামত দিচ্ছেন।
সামরিক বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অংশ নিতে গিয়ে প্রেসিডেন্টকে দুই ঘণ্টা কেন হাঁটতে হবে, সেই প্রশ্নও ছুঁড়ে দিচ্ছেন কেউ কেউ। ট্রাফিক ব্যবস্থার নাজেহাল অবস্থা, প্রেসিডেন্টের যাত্রাপথে বাড়তি সুবিধার ব্যবস্থা কেন রাখা হলো না, সেটাও জানতে চেয়েছেন সমালোচকরা। খোদ প্রেসিডেন্টেরই যে দেশে হেঁটে যেতে হয়, সেখানে সাধারণের কী হাল হতে পারে সেই যুক্তিও জোরালোভাবে উঠে আসছে।
সূত্র: চ্যানেল নিউজ এশিয়া