• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

প্রধানমন্ত্রীকে গালিগালাজ, গ্রেফতারের পর যা বললেন শিলা

প্রকাশ:  ০২ অক্টোবর ২০১৭, ২১:১৭
নাটোর প্রতিনিধি
প্রিন্ট

নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের সরকারী মোবাইল ফোনে দুই দুই বার ফোন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গালিগালাজ করে গ্রেফতার হওয়া শিলা খাতুন (২৩) আসলে কে এবং কি তার পরিচয় এই নিয়ে চলছে পুলিশ প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা রকম আলোচনা। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিলা খাতুন নাটোর শহরের স্টেশন বাজারে সাত মাস ধরে বাসা ভাড়া করে বসবাস করছেন। সঙ্গে রহিমা খাতুন নামে তার ছোট বোনও থাকে। ওই বাসার আশেপাশের লোকজনের সন্দেহ শিলা খাতুন ও তার ছোট বোন পেশাদার যৌনকর্মী। 

কী কারণে বা কেন শিলা খাতুন প্রধানমন্ত্রীকে গালিগালাজ করেছেন জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন বলেন, গত ২৯শে সেপ্টেম্বর রাত ১০:৩৯ মিনিটে ০১৭৮৪-৫৬৫৮৮৪ মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে নাটোর হরিশপুর শিবমন্দির থেকে আমাকে ফোন করে মেয়েটি জিজ্ঞাসা করে, আপনি কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা? আমি বললাম না আমি জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন।এরপর সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করে গালি দেয়। ওই মেয়েটি আমাকে প্রশ্ন করে হিন্দুদের জন্য প্রধানমন্ত্রী এতো কিছু করছে কেন? মুসলমানদের জন্য করছে না কেন? তাকে উত্তরে যখন বলা হলো সরকার কয়েক লক্ষ মুসলিম রোহিঙ্গাদের থাকা খাওয়ায় ব্যবস্থা করেছে তা তুমি জানো? উত্তরে সে চুপ ছিল।

গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, মেয়েটির পুরো নাম মোসা. শিলা খাতুন (২৪)। নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম পালপড়া গ্রামের রহিম মিয়ার মেয়ে সে। তিন বোনের মধ্যে সে মেজ। বাবা কৃষক তবে অন্যের জমি চাষ করে। 

তাকে জিঞ্জাসাবাদে জানা যায়, সাতমাস ধরে নাটোর শহরে স্টেশন বাজারে ভাড়া বাসায় তার ছোট বোন রহিমাকে নিয়ে থাকে। সে এসএসসি পাশ করার পর সিংড়ার একটি কলেজে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়েছে। তবে এইচএসসি পরীক্ষা সে দেয়নি। কীভাবে তোমাদের দিন চলছে জানতে চাইলে চুপ ছিলো সে। 

গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ধারণা করছেন, শিলা খাতুন জঙ্গী সংগঠন বা রাষ্ট্র বিরোধী অন্য কোন কাজের সাথে জড়িত থাকতে পারে। তার  বিষয়ে আরও খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। রোববার দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মোবাইল ফোন ট্রাকিং করে শিলা খাতুনকে নাটোর রেল স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেফতারের করেন।

সর্বাধিক পঠিত