ওয়ালটনে প্রতিদিন ২০ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার
পণ্য ক্রয়ের পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের ঘোষনা দিলো ওয়ালটন। এই রেজিস্ট্রেশনের ফলে ক্রেতাদের দোঁরগোড়ায় অন লাইনে আরো দ্রুত ও উত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে যাবে। ২ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে ওয়ালটনের এই ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। এর আওতায় প্রতিদিন ২০ লাখ টাকা বা এর কমবেশি পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার দেয়া হবে। তিন মাসে ক্রেতারা পাবেন ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটি টাকার ক্যাশ ভাউচার।
ডিজিটাল ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে আজ সোমবার (২ অক্টোবর, ২০১৭) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে ‘ডিক্লারেশন প্রোগ্রাম’- এর আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম। তিনি জানান, দশ হাজার টাকা বা তারচেয়ে বেশি মূল্যের পণ্য কিনলেই কেবল ওই ক্রেতা এই অফারের জন্য বিবেচিত হবেন। একজন ক্রেতা প্রতিবার রেজিস্ট্রেশন করে স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে ২০০ টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার পাবেন। ওই ক্যাশ ভাইচারে পণ্য কিনে আবারো নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার পাবেন।
ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ইভা রিজওয়ানা (বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক), এমদাদুল হক সরকার (বিপণন), মো. হুমায়ুন কবীর (পিআর অ্যান্ড মিডিয়া), অপারেটিভ ডিরেক্টর আরিফুল আম্বিয়াসহ ওয়ালটনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে উদয় হাকিম জানান, পণ্য কেনার পর তা রেজিস্ট্রেশন করতে ক্রেতাদের মধ্যে এক ধরনের অনীহা কাজ করে। আর তাই রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে ক্রেতার অংশগ্রহনকে উদ্বুদ্ধ করতে এই ডিজিটাল ক্যাম্পেইন এবং ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এর ফলে ওয়ালটনের প্রতি গ্রাহকের আস্থা বাড়বে; বিক্রয়োত্তর সেবা অন লাইনের আওতায় আসবে। ক্রেতারা আরো দ্রুত উত্তম সেবা পাবেন। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট পন্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে যাবতীয় তথ্য সার্ভারে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের সকল ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশকদের কাছ থেকে পণ্য কেনার সময়ই রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। গ্রাহকের নাম, ফোন নাম্বার এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেলসহ বিস্তারিত সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এজন্য একটি ওয়েব পেইজ (যঃঃঢ়://ংঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ.ধিষঃড়হনফ.পড়স) ডেভেলপ করেছে ওয়ালটন। এর ফলে গ্রাহক অনলাইনে বিক্রয়োত্তর সেবা চাইতে পারবেন। অনলাইনে জানতে পারবেন পণ্যটি কোন পর্যায়ে আছে, কখন ডেলিভারি দেয়া হবে ইত্যাদি।
উদয় হাকিম আরো জানান, রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার মোবাইল নাম্বারে ক্যাশ ভাউচারের পরিমান সম্পর্কিত একটি এসএমএস বা ম্যাসেজ যাবে। সংশ্লিষ্ট ক্রেতা প্রাপ্ত ক্যাশ ভাউচারের সমমূল্যের ওয়ালটন পণ্য কিনতে পারবেন। বেশি মূল্যের পণ্য কিনলে ক্যাশ ভাউচারের মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারবেন।
বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা বলেন, দেশের ডিজিটাল সেবা খাতকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতেই ডিজিটাল ক্যাম্পেইন এবং তিন মাসব্যাপী নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের উদ্যোগ। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের ডিজিটাল সেবার পাশাপাশি পণ্য নিয়ে তাদের সুচিন্তিত মতামতও জানতে পারবো।
ওয়ালটনের বিপণন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার বলেন, ‘অনেকেই পণ্য কেনার পর গ্যারান্টি কার্ড হারিয়ে ফেলেন। এতে করে সার্ভিসে ক্ষেত্রে ওই ক্রেতা বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন। এই সমস্যার সমাধানে ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশকদের কাছ থেকে পণ্য কেনার সঙ্গে সঙ্গেই নিবন্ধন করতে হবে। গ্রাহকের নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বর ওয়ালটনের সার্ভারে সংস্করণ করা হবে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো প্রান্তে ওয়ালটনের সার্ভিস সেন্টার থেকে সার্ভিস পাওয়া যাবে।’
পিআর অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর আশা প্রকাশ করেন, ওয়ালটনের এই উদ্যোগের খবর সারা দেশের গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে দেশের গণমাধ্যমগুলো অতীতের মতো এবারও সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। ওয়ালটনের প্রচার ও প্রসারে সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।