ফরিদগঞ্জে মাছ ও সবজি চাষে স্বাবলম্বী আব্দুল খালেক
বিভিন্ন জাতের দেশীয় মাছ ও সবজি চাষ করে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় স্বাবলম্বী হয়েছেন খামারী আব্দুল খালেক পাটওয়ারী। ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব আলোনিয়া গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির মৃত মিছির আলী পাটওয়ারীর ছেলে খামারী আব্দুল খালেক পাটওয়ারী।
সরজমিনে গেলে খামারী আঃ খালেক জানান, ১৮ বছর বয়সে নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে চাকুরির উদ্দেশ্যে তিনি আরব আমিরাতে পাড়ি জমান। দীর্ঘ ২৫ বছর বিদেশে কর্মজীবন শেষ করে গত ৩ বছর পূর্বে চাকুরি ছেড়ে তিনি একবারে চলে আসেন দেশে। স্বপ্ন ছিলো দেশে এসে একটি মৎস্য খামার করে জীবনের বাকি সময়টা দেশের মাটিতেই কাটিয়ে দিবেন।
সে স্বপ্নকে বুকে লালন করে বাস্তবে রূপ দিতে আঃ খালেক ৩ একরের একটি ঝিল নিয়ে দেশীয় বিভিন্ন জাতের রুই, কাতল, চিতল, মৃগেল, কার্প, পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছ চাষ করছেন।
বিভিন্ন কোম্পানীর বাজারজাত করা দানাদার মৎস্য খাবারের পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে গোবর, চালের কুড়া, গমের ভূষি, রাসায়নিক সাদা সার, লাল সার, ভিটামিন ও খড়কুটো দিয়ে কৃত্রিম উপায়ে উপযোগী খাদ্য তৈরি করে তা মাছের খাবারে ব্যবহার করেন। কৃত্রিম খাবারে মাছ দ্রুত দৈহিকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং ভালো ফলন পাওয়া যায় এতে অনেকটা খরচ হাতের নাগালে থাকে বলেও জানান তিনি।
মৎস্য চাষের পাশাপাশি ওই ঝিলের চারপাশ দিয়ে পানির কিছু অংশে সুতার জাল দিয়ে ঝাঁড় তৈরি করে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, করলা, ঝিঙ্গে, বড়বটিসহ বিভিন্ন জাতের মৌসুমী সবজি চাষ করেন। এছাড়াও রয়েছে ৩ সহ¯্রাধিক বিভিন্ন জাতের কলা গাছ। এর রক্ষণাবেক্ষণে রয়েছেন প্রতিনিয়ত ৩ জন শ্রমিক।
আঃ খালেক জানান, মৎস্য ও সবজি চাষে সকল খরচ চুকিয়ে বাৎসরিক প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা আয় করেন। বর্তমানে ঝিলটিতে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার মাছ রয়েছে। মৎস্য চাষের পাশাপাশি এ ঝিলটিতে হাঁসের খামার করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।