• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গণপরিবহন চালু করতে চান বাস মালিকরা

প্রকাশ:  ৩০ এপ্রিল ২০২১, ১০:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে সরকার আরোপিত চলমান কঠোর বিধিনিষেধে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন চলাচল। তবে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে শর্তসাপেক্ষে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার। এরই প্রেক্ষিতে গণপরিবহন চালু বিষয়েও দাবি জানিয়েছেন পরিবহন মালিকরা।
তারা বলছেন, বিধিনিষেধে গণপরিবহন ছাড়া দোকানপাটসহ সবকিছুই খোলা রয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও মানুষ ঠিকই বের হচ্ছেন। কেনাকাটা করছেন। সংক্রমণও দিনে দিনে কমছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গণপরিবহন চালানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে রাজধানীতে চলা কিরণমালা পরিবহনের মালিক সোবাহান তালুকদার বলেন, করোনার কারণে গতবছর থেকেই ধাপে ধাপে লকডাউন দিয়েছে সরকার। আর তাই বাস বন্ধ রাখতে হয়েছে মাসের পর মাস। বাস বন্ধ থাকায় আমাদের পরিবহনের লাখ লাখ শ্রমিক এখন খুব কষ্টে দিন যাপন করছেন। আমরা যতটা পারছি শ্রমিকদের সাহায্য করছি।
তিনি বলেন, লকডাউনের মধ্যে দোকানপাট, শপিংমল খোলা কিন্তু পরিবহন বন্ধ- বিষয়টা কেমন হলো বলেন? গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না এমনতো না। সবাই বের হচ্ছেন, কেনাকাটাও করছেন। তাছাড়া গণপরিবহন চললে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চালাই বা এতদিন চালিয়েছি। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চালিয়েছি। এতে করোনার ঝুঁকি মোটামুটি কমই ছিল। এখন মার্কেট বা শপিংমলের যে অবস্থা তাতে সংক্রমণ বাড়বে।
এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন পরিবহনের মালিক ও কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, বেশিরভাগ যানবাহন কেনা হয় বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণের মাধ্যমে। ফলে বাসগুলোর বিপরীতে ঋণের বোঝা পরিবহন মালিকদের কাছে করোনা সংক্রমণের ভয়ের চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে। অনেক পরিবহন মালিক দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় গণপরিবহন চালু করা অতি জরুরি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, প্রতিদিন লাখ লাখ যাত্রী গণপরিবহনে সড়ক পথে যাতায়াত করেন। করোনা সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় দফায় দেয়া লকডাউনে মালিক-শ্রমিক, কর্মচারীদের পরিবার-পরিজন নিয়ে এক মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তিনি বলেন, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে কিন্তু ব্যয় কমেনি। কাউন্টার ভাড়া, গ্যারেজ ভাড়া, স্টাফ বেতন, পার্কিং চার্জ, গাড়ি পাহারা ও পার্টস ড্যামেজ- সবমিলিয়ে দৈনিক প্রতিটি কোম্পানি বড় অঙ্কের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। গত বছর ৯০ দিনের লকডাউনে সড়ক পরিবহন সেক্টরে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়, যা পরিবহন মালিকরা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারের উপর মহলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি। আমরা চাই, দোকানপাট-শপিংমল যেভাবে খুলে দেয়া হয়েছে সেভাবে গণপরিবহনও চালু করা হোক। আমরা সরকারের দেয়া শর্ত মেনেই পরিবহন চালাতে চাই। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।

 

সর্বাধিক পঠিত