• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কই পরিবারের সবাইকে অচেতন করে স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ অর্থ ও মূল্যবান মালামাল লুট

প্রকাশ:  ২৬ জুন ২০২০, ১৬:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহরে একই পরিবারের সবাইকে স্প্রের মাধ্যমে অচেতন করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুটের দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। গত ২৪ জুন বুধবার দিবাগত গভীর রাতে চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডে মুন্সিবাড়ি সড়কস্থ উকিলপাড়া এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।


চোরের দল জানালার গ্রিল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে আলমারির তালা ভেঙে ১৮ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩টি স্মার্টফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

 


অচেতন হওয়া পরিবারের সদস্যরা হলেন মৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম (৫০), বড় ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৫), ছোট ছেলের বৌ রাবেয়া সুলতানা (২১)। তারা সকলেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

 


ভুক্তভুগী পরিবারের সদস্য আমিনুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার রাতে খাবার খেয়ে পরিবারের সকলে ঘুমিয়ে ছিলো। রাতের কোনো একসময় চোরচক্র বাড়ির দুই পাশের জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। এরপর তারা আমাকে, আমার স্ত্রী, আমার মা, বড় ভাইকে অচেতন করে চারটি রুমের বিভিন্ন আলমারির ড্রয়ার খুলে ঘরের মূল্যবান যা কিছু ছিলো লুট করে নিয়ে গেছে।

 


বাড়ির গৃহকর্ত্রী নাজমা বেগম জানান, ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে উঠলে আমার শরীর দুর্বল লাগছিলো। অজু করে হিজাব পরতে গিয়ে দেখি আমার গলার চেইন নেই। এরপর দেখতে পাই আমাদের ঘরের আলমারি সব খোলা, জামা-কাপড়, ড্রয়ার, গহনার বঙ্সহ সবকিছু তছনছ এবং ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে।

 


তিনি আরো জানান, গত তিনমাস আগে আমার ছোট ছেলের বিয়ে হয়েছে। চোর আমার দুই ছেলের বউ এবং মেয়ের গহনাগাটি যা ছিলো সবকিছু নিয়ে গেছে।

 


তিনি বলেন, ১৮ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩টি স্মার্টফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে যায়।

 


চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক তৌফিকুল আফসার জানান, আমরা ঘটনাস্থল গিয়ে দেখে এসেছি। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমাদের আইনী প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে এলাকা সূত্রে জানা যায়, এ এলাকায় কিছুদিন পরপর চুরির ঘটনা ঘটেই চলছে। এর আগে গত ৬ জুন অ্যাডঃ আজিজুল হক হিমেলের বাড়িতেও চুরির হয়েছে। এই এলাকার আশপাশে কিছু চিহ্নিত মাদকসেবী রয়েছে। এলাকাটি নির্জন হওয়ায় তারা সন্ধ্যার পর বিভিন্ন বাসাবাড়ির সামনে বসে মাদকসেবন করে থাকে। তাদেরকে কিছু বললে তারা ভয়-ভীতি দেখায়। এসব চুরির ঘটনার সাথে এ মাদকসেবীরা জড়িত থাকতে পারে বলে এলাকাবাসী সন্দেহ করছে। বর্তমানে এলাকাবাসী আতঙ্কিত রয়েছেন।

সর্বাধিক পঠিত