• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

বসত ঘর ভেঙ্গে নদী গর্ভে ফেললেন ইউপি চেয়ারম্যান

প্রকাশ:  ১০ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:০৭
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রিন্ট

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অরবিন্দু পোদ্দার বাচ্চু ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে বসত ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে নদী গর্ভে ফেলে দেয়া, বিদ্যুৎতের মিটার খুলে নেয়া এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রাম গ্রামের মরহুম দিলাওর মিয়ার বিধবা স্ত্রী মোছা. রানু বেগম।

মঙ্গলবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর থেকে সদর উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রাম মৌজার ১১৬ খতিয়ানের সাড়ে ৬ শতক জায়গা ক্রয় করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছি।

গত ২১ এপ্রিল স্বামী মারা যাওয়ার পর ১৩ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান অরবিন্দু পোদ্দার বাচ্চু ও তার ৩০/৩৫ জনের বাহিনী নিয়ে বসত ঘরে লুটপাট করেন। এসময় আমি বাড়িতে না থাকায় স্কুল কলেজ পড়ুয়া সন্তানরা প্রাণের ভয়ে ঘর থেকে বাহির হয়ে যায়। এই সুযোগে চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী ঘরের চেয়ার, টেবিল, স্টিলের আলমারীসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে বাড়ির পূর্ব পাশের একটি টিনশেড ঘর ভেঙ্গে কুশিয়ারা নদীতে ফেলে দেয় এবং যাওয়ার সময় আলমারীতে থাকা নগদ ৪৩ হাজার টাকা ও ৭ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। লুটপাটের সময় খলিলপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সাথে পার্শ্ববর্তী মনুমুখ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেফুল মিয়াও তার ১৫ বছরের মেয়ের সাথে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ করেন রানু বেগম।

বর্তমানে রানু বেগম স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয়ে দিনকাল অতিক্রম করছেন বলে জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিতু সূত্র ধর।