• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

বিশ্বকাপের একক আয়োজক হতে চায় বিসিবি

প্রকাশ:  ২১ জানুয়ারি ২০২০, ১২:৪০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এককভাবে ২০১৪ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল। এর আগে ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজনের সুযোগ পেয়েছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের। সেবার টুর্নামেন্টটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও বেশ কিছু ম্যাচ আয়োজন করে বিসিবি। তবে এবার পূর্ণাঙ্গভাবে একটি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ।

আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসির সব ইভেন্টের বণ্টন শেষ। তারপরের ৮ বছর অর্থাৎ ২০২৪ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত ছেলেদের, মেয়েদের ও অনূর্ধ্ব ১৯ দলের আটটি করে মোট ২৪টি আসর আয়োজন করবে। আর এবার এসব আসর আয়োজনের সময় ফিফা ও অলিম্পিককে অনুসরণ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নিলামের মাধ্যমে ঠিক করা হবে ভেন্যু। এই উদ্যোগের ফলে ক্রিকেট খেলুড়ে ছাড়াও অন্যান্য দেশগুলোতেও ক্রিকেটের বড় আসর আয়োজনের সুযোগ মিলবে।

আইসিসির শীর্ষ কর্মকর্তারা বিভিন্ন দেশ সফর করে সরকারকে যেমন বোঝাচ্ছেন, তেমনি নিজেরাও বুঝতে চাইছেন, আইসিসি ইভেন্টের আয়োজক হলে কীভাবে দুই পক্ষ লাভবান হওয়া যাবে। সে লক্ষ্যে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে ঢাকায় আসেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মানু সোয়ানি ও বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক (কমার্শিয়াল জেনারেল ম্যানেজার) ক্যাম্পবেল জেমিসন। বিসিবির শীর্ষ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দুজন বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও। আইসিসির শীর্ষ দুই কর্মকর্তার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বললেন, ‘এর আগে আইসিসির ইভেন্টগুলো হতো সেটার সঙ্গে এখনকারের প্রক্রিয়ায় পার্থক্য আছে। আগে যেটা হতো, ঘুরে ঘুরে, কখনো মহাদেশের ভিত্তিতে, কখনো সদস্যদেশগুলোর অগ্রাধিকার, এসব ছিল। এবার হবে বিডিং প্রক্রিয়ায়, যেটা ফিফা এবং অলিম্পিকে হয়ে থাকে। দেশগুলো বিড করে। এখন থেকে ক্রিকেটেও বিভিন্ন দেশ বিড করবে, শুধু ক্রিকেট খেলুড়ে দেশে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।’

আইসিসি যদি বিডিং পদ্ধতিতে যায়, বিসিবি সভাপতি নিশ্চিত করলেন তারা অবশ্যই আইসিসি ইভেন্টের স্বাগতিক হতে আবেদন করবেন। ভবিষ্যতে স্বাগতিক হতে তারা যে অন্য অনেক দেশের তুলনায় এগিয়েও থাকবে, সেটি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বললেন নাজমুল, ‘বাংলাদেশ অবশ্যই বিড করবে। আমাদের সুবিধা হচ্ছে যে অন্য কোনো দেশ হুট করে করতে গেলে যে অবকাঠামো লাগে সেটা আমাদের প্রায় আছে। নতুন করে অবকাঠামো নির্মাণে সরকারকে খুব বেশি বিনিয়োগ করতে হবে না।’

সর্বাধিক পঠিত