• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কচুয়ায় ২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক

৬৫টিতে সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য ॥ ব্যাহত পাঠদান

প্রকাশ:  ২৬ অক্টোবর ২০২২, ১০:৩৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 কচুয়ায় ১৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টিতে প্রধান শিক্ষক ও ৬৫টিতে সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও মোট জনসংখ্যার শতভাগ প্রাইমারী শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কাজ করলেও সেদিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে কচুয়া উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। উপজেলায় ১৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৫টিতে দীর্ঘদিন ধরে ৯২টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় ব্যাহত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। শিক্ষক সঙ্কটে স্কুলে লেখাপড়ার মান ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার ১৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৭৯ জন সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী শিক্ষক। এছাড়া উপজেলার ২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ এবং ৬৫টি বিদ্যালয়ের ৯২ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। অনেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকায় সহকারী শিক্ষকেরা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে ১১জন শিক্ষক ডেপুটেশনে রয়েছে। এ অবস্থায় একজন শিক্ষককে একটানা চার-পাঁচটি ক্লাসে পাঠদান করতে হচ্ছে। কখনো কখনো একাধিক শ্রেণির পাঠদান বন্ধ থাকে। 
মেঘদাইর সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক সুনীল বাইন, বক্সগঞ্জ সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক রোকসানা আক্তার, ভূঁইয়ারা সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) লুবনা জাহান, সেঙ্গুয়া ভূঁইয়া বাড়ি সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক সাগরিকা রাণী সরকার ও সহকারী শিক্ষক মহিন উদ্দিন আলমসহ একাধিক শিক্ষক জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে অনেক শিক্ষক সঙ্কট। ফলে পাঠদান করাতে খুবই হিমসিম খেতে হচ্ছে। টানা ক্লাস নিতে হচ্ছে। কিছু কিছু বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক পিটিআইতে প্রশিক্ষণে রয়েছেন। এতে করে ওই বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান করাতে ব্যাঘাত ঘটে। বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদে পদায়ন করলে শিক্ষক সঙ্কট কাটার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে আইসিটি শিক্ষক ও অফিস সহকারী পদে নিয়োগ করার দাবিও জানান তারা। 
উপজেলা শিক্ষা অফিসার এএইচএম শাহরিয়ার রসুল বলেন, মৃত্যু, অবসরজনিত কারণ ও অনেক দিন থেকে পদোন্নতি বন্ধ থাকায় শূন্য পদ সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের শূন্য পদের তালিকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই সমস্যা আর থাকবে না। আশা করি দ্রুত এর সমাধান হবে।

সর্বাধিক পঠিত