• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

রূপসা আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র

টাকার বিনিময়ে নকল সরবরাহ করেন ক’জন শিক্ষক!

প্রকাশ:  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জ রূপসা আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে টাকার বিনিময়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নকল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। আর্থিক অবস্থানুসারে শিক্ষার্থী প্রতি ২০০ থেকে ৫০০ টাকার বিপরীতে শিক্ষকরা বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় হল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ঘটনার বিবরণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ফরিদগঞ্জ কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র রূপসা আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়মিত হলে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদেরকে বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করে আসছেন কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক মোঃ বাকী বিল্লাহ এবং খ-কালীন শিক্ষক কামাল হোসেন। এর বিপরীতে আর্থিক অবস্থানুসারে শিক্ষার্থী প্রতি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছে তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্র সচিব আকরামুল হক বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ সময় সহকারী কেন্দ্র সচিব শওকত হোসেন জানিয়েছেন বাকী বিল্লাহকে রিজার্ভ কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে রাখা হয়েছে। বাকী বিল্লাহকে রিজার্ভ কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে রাখার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করলে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল্লা আল মামুন জানিয়েছেন, কোনো কেন্দ্রে যে কয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় সমূহের কোনো শিক্ষক ঐ কেন্দ্রে কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে থাকার বৈধতা নেই।
টাকার বিনিময়ে নকল সরবরাহের বিষয়ে জানতে চাইলে কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমরেন্দ্র মিত্র বলেন, রাগ-ঢাক করে আসলে লাভ নাই। ঘটনা সত্য। তবে আপনারা যতটুকু শুনেছেন ততটুকুও নয়, আবার একেবারেই যে হয়নি তাও নয়। তিনি পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, কে টাকা খায় না বলেন?
এ সময় তিনি পাশে বসে থাকা বাকী বিল্লাহকে বলেন, তারা ফরিদগঞ্জ থেকে দুপুরে আসছে। এখন খাবারের সময়। ওয়ান স্টারে খেলেতো অনেক টাকা লাগবে। তুমি তাদেরকে দুই হাজার টাকা দিয়ে দাও। এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আপনারা শুধু আমাদের প্রতিষ্ঠানই দেখেন, অন্যগুলো দেখেন না? সব কেন্দ্রে এবং প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম হয়। রূপসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষাচলাকালীন সময়ে গিয়ে দেখেন সাখাওয়াত, মনির ও মাকসুদ নামের তিনজন শিক্ষক বসে থাকে। তারা কীভাবে সেখানে থাকেন?
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনি আমাকে তথ্যগুলো দেন, আমি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।’
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলবো এবং বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

 

সর্বাধিক পঠিত