• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি, আতঙ্কে ৬৩ চরের মানুষ

প্রকাশ:  ২১ জুন ২০২১, ১১:৪৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

উজানের ঢলে তিস্তায় পানি আবারো বৃদ্ধি পাচ্ছে । ফলে তিস্তার পানি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। তিস্তাচরের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করছে। এতে তিস্তার ৬৩ চরের মানুষ আতঙ্কিত অবস্থায় দিন যাপন করছে।

রোববার (২০ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচপ্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, রোববার সকাল ৯টা থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল ৯টায় ৫২ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার, দুপুর ২টায় ৫২ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার ও সন্ধ্যা ৬টায় ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার স্পর্শ করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন শুরু হয়েছে। গত ১০ দিনে তিস্তার ভাঙনে প্রায় ৩০টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় এলাকার এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি বালুর বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে। সদর উপজেলার গোকুণ্ডা ও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নে ভাঙন বেড়েই চলছে। ফলে সেখানকার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটগ্রামের দহগ্রাম; হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী; আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী; সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে পারে যে কোনো সময়।

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) আব্দুল আল মামুন বলেন, ‘উজানের পানি ও বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।’

সর্বাধিক পঠিত