• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

মেসি-ফাতির গোলে বার্সেলোনার বড় জয়

প্রকাশ:  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে আক্রমণভাগের দক্ষতায় অপরাজিতই ছিল বার্সেলোনা। চিন্তার কারণ ছিলো রক্ষণভাগ। মৌসুমের প্রতিযোগিতামূলক খেলা শুরু হতে হতে সেটিও যেনো সামলে নিয়েছে কাতালান ক্লাবটি। আক্রমণ ও রক্ষণের ভারসাম্যে তৈরি হয়েছে দারুণ এক সমন্বয়। যার কল্যাণে স্প্যানিশ লা লিগার নতুন মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বড় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা।

রোববার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠে ভিয়ারিয়ালকে স্বাগত জানিয়েছিল বার্সা। তবে অতিথি হিসেবে মাঠে বাড়তি কোনো আপ্যায়ন পায়নি ভিয়ারিয়াল। নতুন মেসি খ্যাত আনসু ফাতির জোড়া এবং লিওনেল মেসির এক গোলের সঙ্গে ভিয়ারিয়ালের কাছ থেকে পাওয়া একটি আত্মঘাতী গোলে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা। সবগুলো গোলই হয়েছে ম্যাচের প্রথমার্ধে।

নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের অধীনে প্রাক-মৌসুম ম্যাচগুলোতে ৪-২-৩-১ ফরমেশনে খেলছিল বার্সেলোনা। বোঝাই যাচ্ছিলো, এবার হয়তো মূল মৌসুমেও নতুন রূপে দেখা যাবে বার্সাকে। হলোও ঠিক তাই। নিজেদের প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে মেসিকে মূল ফরোয়ার্ড হিসেবে রেখে ৪-২-৩-১ ফরমেশনেই দল সাজিয়েছেন কোম্যান। যার ফলও পেয়েছেন পুরোপুরি। মাঝমাঠ প্রায় পুরোটাই ছিল বার্সেলোনার দখলে।

ম্যাচের ১৫ মিনিটের সময় জর্ডি আলবার কাছ থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন বার্সেলোনার তরুণ তুর্কি আনসু ফাতি। এর মিনিট চারেক পর দেখা মেলে মেসি-ফাতির যুগলবন্দীর। নিজেদের অর্ধে বল পেয়ে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে থাকেন মেসি। বাম পাশে অরক্ষিত অবস্থায় দেখতে পান তরুণ ফাতিকে। নিখুঁত পাসে বল পৌঁছে দেন ফাতির পায়ে, ঠাণ্ডা মাথায় বাকি কাজ সারেন ১৭ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড।

জোড়া গোল করে ভিয়ারিয়ালের ওপর আরও চাপ বাড়াতে শুরু করে বার্সেলোনা। ম্যাচের ২৬ মিনিটের সময় হয়ে যেতে পারতো তৃতীয় গোল। গোলবারের খুব কাছে দাঁড়িয়ে বল পেয়েছিলেন ডিফেন্ডার জর্ডি আলবা, শটও নিয়েছিলেন লক্ষ্য বরাবর। তবে সেটি প্রতিহত করে দেন ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক সার্জিও আসেনহো।

মিনিট দশেক পর মেসির পেনাল্টি শটও প্রায় ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন আসেনহো। তবে তার হাতে লাগলেও সেটি জড়িয়ে যায় জালে, নতুন মৌসুমে নিজের প্রথম গোল পেয়ে যান মেসি। এতে আবার ছিল ফাতির পরোক্ষ ভূমিকা। ডি-বক্সের ভেতর এ তরুণ ফরোয়ার্ডকে ফাউল করেছিলেন ভিয়ারিয়াল অধিনায়ক মারিও। সেখান থেকেই পেনাল্টিটি পেয়েছিল বার্সেলোনা।

প্রথমার্ধের বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে হালি পূরণ করে বার্সেলোনা। এবার ফাতির কাছ থেকে বল পেয়ে দ্রুতগতিতে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে যান মেসি। প্রতিপক্ষ ডি-বক্সের কাছাকাছি পৌঁছে বল বাড়াতে চেয়েছিলেন অরক্ষিত অবস্থায় থাকা সার্জিও বুসকেটসের উদ্দেশ্যে। কিন্তু মাঝপথে তার ক্রস ফেরাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালেই পাঠিয়ে দেন ভিয়ারিয়াল ডিফেন্ডার পাউ তোরেস। ফলে প্রথমার্ধেই পূরণ হয় গোলের হালি।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিলেন মেসি-ফাতিরা। প্রায় দশ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নেমে ওসুমানে দেম্বেলেও দেখান নিজের ফর্মের ঝলক। কম যায়নি ভিয়ারিয়ালও, আপ্রাণ চেষ্টা করেছে গোল করতে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি কিছুই। দ্বিতীয়ার্ধে একবারও গোলের বাঁশি বাজাতে হয়নি রেফারিকে, ৪-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বার্সেলোনা।