• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

শুধু পাঁচজনের দল নয়!

প্রকাশ:  ২১ মে ২০১৯, ০০:১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাফল্যের মূল কারিগর পাঁচজন। মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহদের অভিহিত করা হয় ‘পঞ্চপাণ্ডব’ হিসেবে। কয়েক বছর ধরে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ যে সমীহ জাগানিয়া দলে পরিণত হয়েছে, এর সঙ্গে মিশে আছেন তারা। তাদের বিদায়ের পর বাংলাদেশ ক্রিকেটের কী হবে, এ নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের উদ্বেগ-উত্কণ্ঠাও কম নয়। ঠিক এ রকম পরিস্থিতিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে টাইগাররা। এ আসরে পঞ্চপাণ্ডবদের ছাপিয়ে গেছেন তরুণ ক্রিকেটাররা। এরপর দল এখন আর শুধু পঞ্চপাণ্ডবনির্ভর নয় বলে জানান কোচ স্টিভ রোডস।

ইনজুরির কারণে ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনালে খেলেননি সাকিব আল হাসান। নেতৃত্বে দুর্দান্ত থাকলেও উইকেটশূন্য ছিলেন মাশরাফি। নামেননি ব্যাট হাতেও। ফাইনালে সুবিধা করতে পারেননি তামিম। আউট হয়ে যান ১৮ রানে। মুশফিক (২২ বলে ৩৬) ও মাহমুদউল্লাহর (১৮ বলে ১৯*) পারফরম্যান্স ছিল মাঝারি মানের। শিরোপার লড়াইয়ে ২৪ ওভারে ২১০ রানের দুরূহ টার্গেটকে ধরাছোঁয়ার মধ্যে নিয়ে আসেন সৌম্য সরকার (৪১ বলে ৬৬) ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (২৭ বলে ৫২*)। ফাইনালের প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ রোডস বলেন, ‘যেভাবে রান তাড়া করে জিতেছি, তা এক কথায় চমত্কার ছিল। পুরো টুর্নামেন্টে দু-তিনজন স্পেশাল ইনিংস খেলেছিল। কিন্তু ফাইনালে মোসাদ্দেক যা করেছে, তা একটা দৃষ্টান্ত। এটাই আমাদের দলের শক্তির জায়গা।’

ফাইনাল তথা পুরো টুর্নামেন্টকে ব্যবচ্ছেদ করে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘ফাইনালের আগের ম্যাচে আবু জায়েদ ৫ উইকেট পেয়েছিল। অথচ তাকে ফাইনালে খেলানো হয়নি। তাকে বাদ দেয়াটা কঠিন ছিল। এখান থেকেই স্পষ্ট যে আমাদের দলটা ব্যক্তিনির্ভর কিংবা ১১ জনের নয়। দলের সবাই উপলব্ধি করতে পারছে, তার জায়গায় অন্য কেউ সুযোগ পেলে কাজে লাগাবে।’ দলে শক্তির গভীরতা যত বাড়বে, পঞ্চপাণ্ডবের কথা মানুষ ততই কম বলবে বলে মনে করছেন রোডস, ‘বিশ্বকাপে আমাদের একটা শক্তিশালী স্কোয়াড আছে। আমরা চেয়েছি দলের শক্তির গভীরতা। এ দলে আরো গভীরতা চাই, যাতে কেউ আলাদাভাবে ওই পাঁচজনের কথা বলবে না।’

সৌম্যর ওপর আস্থা রাখার সুফল মিলেছে বলে জানা রোডস, ‘সৌম্যর ফর্ম নিয়ে উদ্বেগ ছিল। তবে ডিপিএলে সেঞ্চুরি ও ডাবল সেঞ্চুরি করে নিজেকে ফিরে পেল সে। সৌম্য তার ফর্ম টেনে নিয়ে যাচ্ছে, এর থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। সৌম্যর ফর্মে থাকা মানে অনেক কিছু। অসাধারণ একজন প্লেয়ার সে। আমরা তার ওপর আস্থা রেখেছিলাম। সবার ক্ষেত্রে কিন্তু বিষয়টা এমন ঘটে না, এখন নিশ্চয় সবাই বুঝতে পারছে।’

ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার বদলে পজিশনগুলো সুনির্দিষ্ট করার ওপর জোর দিচ্ছেন রোডস। বলেছেন, অবশ্যই নির্দিষ্ট পজিশন অনুযায়ী খেলতে হবে ব্যাটসম্যানদের। এটা হতে পারে সাকিব হয়তো খেলছে না। পরিবর্তন হবে শুধু সেই জায়গাটিতেই। কিন্তু কোনোভাবেই একাধিক পজিশনে পরিবর্তন আসবে না। কেননা ব্যাটিংয়ে আমরা ধারাবাহিকতা চাই। এর জন্য নির্দিষ্ট পজিশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কে কোন পজিশনে ব্যাট করবে, এটা সবাই জানবে। যেমন মুশি (মুশফিক) চার নম্বরে, মিঠুন পাঁচ নম্বরে, রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ছয় নম্বরে। আর এটা দলকে স্থিতি দেবে। সবাই নিজের ভূমিকা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী থাকবে।

সর্বাধিক পঠিত