• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

পাকিস্তানকে হারানোর ম্যাচে হেরাথের বিরল রেকর্ড

প্রকাশ:  ০২ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৩১
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রিন্ট

বয়স ৩৯ পার হয়ে এখন চলছে ৪০। এই বয়সে ব্যাট-প্যাড, গ্লাভস সবই তুলে রাখার কথা যে কোনো ক্রিকেটারের; কিন্তু দিন যত যাচ্ছে বয়স যেন ততই কমছে রঙ্গনা হেরাথের। ততই তার বোলিংয়ের ধার বেড়ে যাচ্ছে। আবুধানির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে যে অবিশ্বাস্য জয় পেলো শ্রীলঙ্কা, তার নেতৃত্ব তো দিয়েছেন রঙ্গনা হেরাথই।

১৩৬ রানের মামুলি লক্ষ্য অনায়াসেই পার হয়ে যাবে পাকিস্তান, জয়টা তাদের হাতের মুঠোয়। এমনটা ভেবে নিয়েছিল সবাই। পাকিস্তানের কাছে আরও একটি নিশ্চিত পরাজয় বলতে গেলে মেনেই নিয়েছিল লঙ্কানরা।

কিন্তু পোড় খাওয়া, অভিজ্ঞ স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ তো এত সহজে হার মানতে রাজি নন! তিনি জানেন, ক্রিকেটে শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যায় না। ভবিষ্যদ্বানী করা যায় না। সারা জীবনের অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকেই হেরাথ চ্যালেঞ্জটা নিলেন। ১৩৬ রানকেও পাকিস্তানের সামনে পরিণত করলেন বিশাল এক লক্ষ্যে।

একে একে পাকিস্তানের উইকেটগুলো তুলে নিতে থাকলেন হেরাথ। সঙ্গে যোগ দিলেন দিলরুয়ান পেরেরাও। এই দুই স্পিনার ভাগ করে নিলেন ৯টি উইকেট। হেরাথ ৬টি এবং পেরেরা ৩টি। ১টি নিলেন সুরঙ্গা লাকমাল। তাতেই ২১ রানের অবিশ্বাস্য এক জয় পেয়ে গেলো শ্রীলঙ্কা।

উইনিং উইকেটটা নিতে পারতেন দিলরুয়ান পেরেরা। যদি ওভার স্টেপিংটা না হতো। কিন্তু সেটা আর হলো না, রঙ্গনা হেরাথের জন্যই যেন উইনিং উইকেটটা অপেক্ষা করছিল। মোহাম্মদ আব্বাসের পায়ে বল লাগতেই জোরালো আবেদন এবং আঙ্গুল তুলে দিলেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গেই ইতিহাস গড়ার আনন্দে নেচে ওঠে পুরো শ্রীলঙ্কা শিবির।

হেরাথের আনন্দটা আরও বেশি। কারণ, এই প্রথম কোনো বাম হাতি স্পিনার হিসেবে টেস্টে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ১৪তম বোলার হিসেবে ৪০০ উইকেটের মালিক হলেন হেরাথ। সর্বোচ্চ ৮০০ উইকেট নিয়ে একেবারে চূড়ায় বসে আছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন। ৭০৮ উইকেট শেন ওয়ার্নের। অনিল কুম্বলে নিয়েছেন ৬১৯ উইকেট।

৪০০ কিংবা তার বেশি উইকেট নেয়া বোলারের তালিকায় হেরাথের আগে ছিলেন চারজন। প্রথম তিনজনই স্পিনার। মুরালিধরন, শেন ওয়ার্ন এবং কুম্বলে। ভারতের আরও একজন আছেন এই তালিকায়, হরভজন সিং। এই চারজনই ছিলেন ডান হাতি স্পিনার। প্রথম বাম হাতি এবং পঞ্চম স্পিনার হিসেবে ৪০০ ক্লাবে যোগ দিলেন হেরাথ। এই ৫জন ছাড়া বাকি ৯জনই পেসার।

রেকর্ড আরও আছে হেরাথের। চতুর্থ ইনিংসে এ নিয়ে মোট ১১বার ৫ কিংবা তার বেশি উইকেট পেলেন তিনি। এই একটি স্থানে তিনি অদ্বিতীয়। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। দ্বিতীয় স্থানে আছেন শেন ওয়ার্ন এবং মুত্তিয়া মুরালিধরন। দু’জনই চতুর্থ ইনিংসে ৫ কিংবা বেশি উইকেট নিয়েছেন ৭বার করে।

এছাড়া হেরাথের রেকর্ড আরও একটি আছে। এই প্রথম কোনো বোলার হিসেবে টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০০ উইকেট নিলেন হেরাথ। বোঝাই যাচ্ছে, পাকিস্তান তার কতটা প্রিয় প্রতিপক্ষ।