• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

স্পেনকে না বলতেও রাজি পিকে

প্রকাশ:  ০২ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:১৯
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রিন্ট

কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার দাবিতে বরাবরই সোচ্চার স্পেনের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করায় বেশ কয়েকবার নিজ দেশের সমর্থকদের দুয়োধ্বনিও শুনতে হয়েছে বার্সেলোনার এই তারকাকে। কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার দাবিতে আয়োজিত গণভোটে স্প্যানিশ সরকারের দমন-পীড়নে এবার পিকে ব্যক্ত করেছেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। এমনকি স্পেনের জার্সি গায়ে আর খেলতে চান না বলেও মন্তব্য করেছেন এই ডিফেন্ডার।

গতকাল রোববার স্বাধীনতার দাবিতে গণভোট আয়োজন করেছিল কাতালোনিয়ার প্রাদেশিক সরকার। কিন্তু ব্যাপারটা অসাংবিধানিক ঘোষণা দিয়ে গণভোট পণ্ড করার সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছে স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার। পুলিশের দমন-পীড়নে আহত হয়েছেন সাতশর বেশি মানুষ। এই ডামাডোলের মধ্যেও বার্সেলোনা লা লিগার ম্যাচে মাঠে নেমেছিল লাস পালমাসের বিপক্ষে। ন্যু ক্যাম্পের এই ম্যাচটি পিকেরা খেলেছেন পুরো ফাঁকা একটা মাঠে।

মাঠে নামার আগে পিকে নিজেও অবশ্য ভোট দিয়েছেন কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে। পরে কেন্দ্রীয় সরকারের পুলিশ বাহিনীর লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে পিকে বলেছেন, ‘একজন পেশাদার ফুটবলার হিসেবে এটা আমার সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা। খুবই কঠিন একটা দিন পার করেছি আমরা। ভোট দিতে সবাই গিয়েছিল। ওখানে শিশুরা ছিল, অনেক বৃদ্ধ মানুষ ছিলেন। কিন্তু তারপরও পুলিশ ও সিভিল গার্ড তাদের বাধা দিয়েছে। সবাই শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতিবাদ করছিলেন। আমি ভেবেছিলাম, পুলিশ শান্তিপূর্ণ উপায়েই ভোট বন্ধ করার চেষ্টা করবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী ঘটেছে, সেটা সবাই দেখেছে। পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে গেছে। এটা গত ৫০ বছরে নেওয়া সবচেয়ে খারাপ সিদ্ধান্ত। কাতালোনিয়া এখন স্পেন থেকে আরো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আর এগুলোর পরিণামও সবাইকে ভোগ করতে হবে।’

২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেকের পর থেকে পিকে পরিণত হয়েছেন স্পেনের রক্ষণভাগের অন্যতম প্রধান সেনানীতে। ২০১০ সালে স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ের পেছনেও পিকে রেখেছিলেন সক্রিয় ভূমিকা। ২০১৮ সালের পরবর্তী বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোও খেলার কথা তাঁর। কিন্তু স্প্যানিশ সরকারের দমনমূলক আচরণের সমালোচনা ও কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার দাবিতে অটল থাকার জন্য প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলতেও রাজি পিকে। তিনি বলেছেন, ‘যদি কোচ বা ফুটবল ফেডারেশনের অন্য কেউ মনে করে যে আমি একটা সমস্যা, তাহলে আমি সরে দাঁড়াব। জাতীয় দল ছেড়ে দেবো ২০১৮ সালের আগেই।’ কাতালোনিয়ার এই স্বাধীনতার দাবিতে বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবও দিয়েছে সক্রিয় সমর্থন।

সর্বাধিক পঠিত