• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জন্য স্বস্তির খবর!

তৃণমূলের তালিকার বাইরেও দলীয় মনোনয়নপত্র উন্মুক্ত রাখা হয়েছে বঞ্চিতরা খুশি

প্রকাশ:  ১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৩:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে তৃণমূল থেকে যে তিনজনের তালিকা করে একটি প্যানেল পাঠানো হয়, সে তালিকা অনেক ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্ট হয়। আবার এই তালিকা প্রেরণের ক্ষেত্রে বিশাল অংকের বাণিজ্যও হয়ে থাকে। যেটিকে বলা হয় 'মনোনয়ন বাণিজ্য'। আর তৃণমূলের এই তালিকা কেন্দ্রে পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেক ত্যাগীরা বঞ্চিত হন। দলের জেলা, উপজেলা এবং পৌর কমিটি থেকে প্রেরিত তালিকার ক্ষেত্রে এমন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করা হয়ে থাকে। এতে প্রবঞ্চনার শিকার হতেন ত্যাগীরা। চাঁদপুর জেলার ক্ষেত্রেও এমন অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে। অবশেষে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সুচিন্তিত মতামত এবং সিদ্ধান্তে মনোনয়ন বাণিজ্যের অপচেষ্টাকে রুখে দেয়া হলো। বঞ্চিতরা আর জেলা, উপজেলা এবং পৌর কমিটির নেতাদের কাছে ধর্ণা ধরতে হবে না, শুধুমাত্র তাঁদের দয়া বা আনুকূল্য লাভের উপর ভরসা করে থাকতে হবে না। তৃণমূল থেকে পাঠানো তালিকার বাইরেও দলের দুঃসময়ে কা-ারী যে কোনো ত্যাগী নেতা-কর্মী ইচ্ছা করলে দলের মনোনয়ন ফরম কিনতে পারবেন। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সভায়। তবে এ ক্ষেত্রে নিয়ম রাখা হয়েছে- দলের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক কিংবা দলের কেন্দ্রীয় কোনো নেতার সুপারিশ নিতে হবে। এর আগে তৃণমূল আওয়ামী লীগের পাঠানো তিন সদস্যের তালিকার বাইরে কেউ মনোনয়ন ফরম ক্রয় করতে পারতেন না। আওয়ামী লীগের এমন সিদ্ধান্তে এ নিয়মটি আর থাকলো না। যদিও মনোনয়ন নিয়ে বাণিজ্য করা নেতাদের জন্যে এটি একটি দুঃসংবাদ।

গত মঙ্গলবার রাতে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক অনির্ধারিত বৈঠক করেন দলটির কেন্দ্রীয় এবং বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। এ বৈঠকেই ত্যাগী নেতাদের স্বার্থ রক্ষার এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বৈঠকে উঠে আসে আসন্ন পৌর নির্বাচনে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। বিশেষ করে তৃণমূল সংগঠনের রেজুলেশনে মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম দিতে 'বাণিজ্য', এমপি-মন্ত্রীদের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত, জেলা-উপজেলা-পৌর আওয়ামী লীগের নেতাদের স্বেচ্ছাচারিতা, তৃণমূলের সিনিয়র নেতাদের সিন্ডিকেট করে প্রার্থী বাছাই করার বিষয়গুলো বৈঠকে উঠে আসে। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে দলের নীতিনির্ধারণী মহল দলের প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র অনেকটাই 'উন্মুক্ত' করে দেয়। দলের দায়িত্বশীল বিশ্বস্ত সূত্র থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে। আর এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দলের তৃণমূলের ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। তারা বলছেন, এর দ্বারা অন্তত আমরা যারা দীর্ঘদিন যাবত বঞ্চিত হয়ে আছি দলের স্থানীয় পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের মনোতুষ্টি না করায়, তারা অন্তত মনোনয়ন বোর্ডের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগটি পাবো। আর মনোনয়ন বাণিজ্যও বন্ধ হবে কিছু নেতার।

সর্বাধিক পঠিত