• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

পুরাণবাজারে ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা-ভাংচুর

প্রকাশ:  ০২ মে ২০২১, ১৩:৫৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। তারা অফিসে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর ছবিসহ অন্যান্য ব্যানার-ফেস্টুন ভাংচুর করেছে। গতকাল ৩০ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে পূর্ব জাফরাবাদ সামু গাজী সড়কের পাশে অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুরাণবাজার ফাঁড়ি পুলিশ ও দলীয় নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।


এ বিষয়ে ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মোঃ হাসান জানান, আমরা জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিলাম। এ সুযোগে স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী আমাদের দলীয় কার্যালয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। তারা কার্যালয়ের ভেতরে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর ছবিসহ দলীয় ব্যানার-ফেস্টুন ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা জাকাতের জন্যে রাখা ১ হাজার পিচ শাড়ি কাপড়, ৩২ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশনসহ অন্যান্য মূল্যবান আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে।

 


হাসান গাজী আরও জানান, কিছুদিন আগে জাফরাবাদ এলাকায় স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর গলা কেটে হত্যার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছিলো। ওই মামলায় আমাদের বাড়ির দুজনকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামী করা হয়েছে। বাদীপক্ষ ওই মামলা থেকে আসামীদের নাম কেটে দিবে বলে আমাদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। মূলত সেই টাকা না দেয়ায় মামলার বাদী সাজু গাজীর ছেলে মুকবুল, শুকুর, সিয়াম ও নানু গাজীর ছেলে হাবিব গাজী, বাচ্চু গাজীর ছেলে শান্ত গাজী, বাচ্চু খাঁর ছেলে রাসেল খানসহ অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীর দল এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ঘটনার আগের দিন এবং আজকে সকালেও তারা নানাভাবে আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলো। যারা দলীয় কার্যালয়ে এই ভাংচুর করেছে আমরা তাদের শাস্তি দাবি করছি।

 


৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মফিজ বেপারী বলেন, এটি ওয়ার্ড সেক্রেটারির উদ্যোগে অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এখানে নির্বাচনের সময় নির্বাচনী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হতো। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তার সঠিক তদন্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেন তিনি।

পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে ঘটনাটি কী ঘটেছিলো।

 

সর্বাধিক পঠিত