• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ক্রয়ে সরকারের সঙ্গে সিরামের চুক্তি সম্পন্ন

প্রকাশ:  ১৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বেক্সিমকো ফার্মার মাধ্যমে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সরকারের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্রয় সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। রোববার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের উপস্থিতিতে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে আগামী ছয় মাসে (প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে) মোট তিন কোটি ভ্যাকসিন আমদানি করবে। চুক্তিতে সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম ও বেক্সিমকো ফার্মার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন স্বাক্ষর করেন।

স্বাক্ষরিত চুক্তিটি আজ ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সিরাম ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ চুক্তিপত্রটিতে স্বাক্ষর করে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই পুনরায় দেশে পাঠিয়ে দেবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে যে ভ্যাকসিন সরকার নিচ্ছে সেটি হচ্ছে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রেজেনেকা ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন বিভিন্ন দেশের ট্রায়ালে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ মনে হয়েছে এবং এই ভ্যাকসিন আমাদের দেশের আবহাওয়া উপযোগী।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে তিন কোটি ভ্যাকসিন আমদানি করা হচ্ছে। ধাপে ধাপে এই ভ্যাকসিন আগামী ছয় মাস দেশে আনা হবে। অ্যাস্ট্রেজেনেকা ভ্যাকসিনের পাশাপাশি আরও কিছু কোম্পানির সাথেও সরকারের আলোচনা চলমান। আশা করা হচ্ছে, সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারির মাঝামাঝি অ্যাস্ট্রেজেনেকা ভ্যাক্সিনটি দেশে চলে আসবে। এর মধ্যে অন্য ভ্যাকসিনগুলোও আমদানি করার কাজ অগ্রগামী হবে।’

দ্রুত ভ্যাকসিন ক্রয়ে অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ভ্যাকসিন সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত কর্মকর্তাদেরও এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান।

এই অনুষ্ঠানের পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুপুর ১২টায় রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুমে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় হাসপাতালে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যখাতের অবদানের কথা তুলে ধরেন।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের স্বাস্থ্যখাত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোভিড মোকাবিলা করেছে। স্বাস্থ্যখাত কোভিডকে ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে বলেই দেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ অবস্থায় আছে। এ মহামারি চলাকালীনও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে আবারও দেশের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে বাংলাদেশ। সবই সম্ভব হয়েছে কোভিড নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায়।

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ, দেশের বেক্সিমকো ফার্মা ও ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সেই সমঝোতা চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতেই আজকের চুক্তিটি সম্পাদিত হলো।

সর্বাধিক পঠিত