• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

হিমেল হাওয়ায় কাবু ৬৩ চরের মানুষ

প্রকাশ:  ১২ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:৫০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

হিমেল হাওয়ায় আর ঘন কুয়াশায় কাঁপছে দেশের উত্তরের হিমালয় ঘেঁষা লালমনিরহাটের মানুষ। শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত জনজীবন। গত দু’দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে তিস্তা তীরবর্তী এলাকার মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টাতেও সূর্যের দেখা মেলেনি। শীতের তীব্রতা ও হিমেল হাওয়া বাড়তে শুরু করেছে। ঘর থেকে বের হতে পারছে না সাধারণ মানুষ। তিস্তাপারের শিশু বৃদ্ধ সকলেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাটে ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। গত তিন দিনে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শীতজনীত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে শিশুসহ ৩০ জন।

সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ১৩টি নদ-নদী তীরবর্তী ৬৩টি চরের প্রায় লক্ষাধিক নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতে খেটে খাওয়া মানুষ কাজকর্ম না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। গত দুই দিনের শীতে তিস্তা পাড়ের হতদরিদ্র মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়ষ্করা। হাঁপানি, অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, হৃদরোগসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। গোবাদি পশুও রেহাই পাচ্ছে না শীতের প্রকোপ থেকে।

তিস্তা পাড়ের খাদেম আলী জানান, তিস্তার পাড়ে শীতের তীব্রতা একটু বেশি। গত দুই দিনে ঘন কুয়াসা ও কনকনে ঠান্ডায় এলাকার মানুষ কাবু হয়ে পড়েছে।

সানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, সানিয়াজান ইউনিয়নটি নদীবেষ্টিত হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ নদীতে ঘরবাড়ি হারিয়ে বাঁধের রাস্তায় বসবাস করছেন। শীত আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে তারা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। ফলে কাজ না পেয়ে পরিবারগুলো মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, শীতজনীত রোগে আক্রন্ত হয়ে ৫ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বয়ষ্ক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীতের তীব্রতা বাড়লে রোগী আরও বাড়তে পারে।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, শীতার্ত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ চলমান আছে। এই এলাকার মানুষের আরও শীতবস্ত্রের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।