• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

এইচ টি ইমামের আইফোনের সন্ধান এখনো মেলেনি

প্রকাশ:  ০৬ অক্টোবর ২০১৭, ০১:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের আইফোনের সন্ধান এখনো মেলেনি। ফোনটিতে ছিল রাষ্ট্রীয় নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ই সেপ্টেম্বর কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাছাকাছি  কোনো জায়গা থেকে তার ব্যবহার করা মোবাইলফোনটি খোয়া যায়। এ নিয়ে বাংলাদেশ চ্যান্সেরির প্রধান বি এম জামাল হোসেন স্থানীয় বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। 

অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তদন্ত করছে। এইচ টি ইমামের সফরকালে প্রটোকলসহ অন্যান্য কাজের সঙ্গে থাকা হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের বক্তব্য নিয়েছেন তারা। কিন্তু এখনো ফোনটি হারিয়ে যাওয়ার রহস্য বা এর অবস্থা সম্পর্কে কোনো ক্লু মেলেনি। 

কলকাতা মিশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কলকাতা পুলিশ ফোনটি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছে। তারা ব্যবহারকারীর প্রকৃত নামের বানানসহ অন্যান্য তথ্য হাইকমিশনের সঙ্গে ক্রসচেক করে নিয়েছেন। সফর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুলিশের কথা হয়েছে। কিন্তু এখনো এর কোনো অগ্রগতি আছে বলে জানা যায়নি। 

ফোনটি হারিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি রিপোর্ট করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল- ওই মোবাইল ফোনটিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে। কারণ এইচ টি ইমাম বাংলাদেশের মন্ত্রিসভার একজন সদস্যের পদমর্যাদা ধারণ করেন এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেশ ঘনিষ্ঠজন।

 ফোনটি কীভাবে খোয়া গেল সে সম্পর্কে কোনো ধারণাই পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে সেদিনের রিপোর্টে বলা হয়- এইচ টি ইমাম কলকাতা এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর পর থেকে হোটেল কক্ষে পৌঁছানো পর্যন্ত বাংলাদেশি কূটনীতিক পরিবেষ্টিত ছিলেন। টাইম অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টে সে সময় আরো বলা হয়- হারিয়ে যাওয়ার পর থেকে ফোনটি আর চালু হয়নি। সেটিতে এইচ টি ইমামের যে সিমকার্ড ছিল, তা খুলে ফেলা হয়েছে কি-না সেটি তদন্ত করছে পুলিশ। 

হারিয়ে যাওয়া ফোনটি থেকে তথ্য চুরির আশঙ্কা ব্যক্ত করে রিপোর্টে বলা হয়- কলকাতার এক পুলিশ কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন- এই মুহূর্তে ফোন খুঁজে পাওয়াটা কলকাতা পুলিশের সুনামের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তারা। ফোন খুঁজে পেতে দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে সে সময় বলা হয়- ফোনটির নির্মাতা অ্যাপলের যে ট্রাকিং পদ্ধতি রয়েছে, তা কাজ করছে না।