• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

আজ বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ

প্রকাশ:  ২১ জুন ২০২০, ১১:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

২১ জুন। বাংলাদেশ তো বটেই, পুরো উত্তর গোলার্ধেই সবচেয়ে বড় দিন। আর সেই দিনটাই কিনা সূর্য বেছে নিল চাঁদের আড়ালে মুখ লুকাতে। নেহাৎ কাকতালীয় ব্যাপার। তবু মজার তো বটেই। সূর্যগ্রহণ হর-হামেশা হয় না। আবার হলেও পূর্ণগ্রাস হয় না সব সময়। রোববারের সূর্যগ্রহণও পূর্ণগ্রাস নয়, বলয়গ্রাস। অর্থাৎ চাঁদের আড়ালে সূর্য পুরোপরি ঢাকা পড়বে না। যখন সূর্যগ্রহণের ষোলকলা পূর্ণ হবে, অর্থাৎ চাঁদের ছায়া পুরোটা ঢেকে যাবে, তখনও ছায়ার চারপাশে একটা উজ্জ্বল বৃত্ত দেখা যাবে। অর্থাৎ সূর্যটা তখন চাঁদের চারপাশে দেখা যাবে রিং বা বলয়ের মতো। এ কারণেই এ ধরনের গ্রহণের নাম বলয়গ্রাস।

বাংলাদেশ থেকে পূর্ণ বলয়গ্রাস গ্রহণ দেখা যাবে না। দক্ষিণ এশিয়ার এ অঞ্চলে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। বাংলাদেশে আংশিক সূর্যগ্রহণ শুরু হবে সকাল ১১ টা ২৩ মিনিটে, শেষ হবে পৌনে দুটোয়। সর্বোচ্চ গ্রহণ দেখা যাকে দুপুর ১টা ১২ মিনিটে। বাংলাদেশে সূর্যগ্রহণ শেষ হবে দুপুর ২টা ৫২ মিনিটে।

বছরের একটা সময় চাঁদ পৃথিবী আর সূর্য একই সরল রেখায় চলে আসে। তখন যদি চাঁদ পৃথিবী আর সূযের্র মাঝখানে এসে পড়ে, তখন সূর্যকে সরাসরি দেখা যায় না। চাঁদের পেছনে ঢাকা পড়ে সূর্য। যদি সূর্য সম্পূর্ণ ঢাকা পড়ে তখন সেটাকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ বলে। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব বা পৃথিবী থেকে সূযের্র দূরত্ব সারা বছর এক থাকে না- বাড়ে-কমে। এ কারণেই কখনো বলয়গ্রাস, কখনো পূর্ণগ্রাস আবার কখনো আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা দেয়।

 


সূর্যগ্রহণের সময় অনেকেই অতি উৎসাহী হয়ে খালি চোখে গ্রহণ দেখার চেষ্টা করেন। সূর্যগ্রহণ তো বটেই, যে কোনো সময় সূযের্র দিকে সরাসরি তাকানো চোখের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই সরাসরি না তাকিয়ে ফিল্টার গ্লাস ব্যবহার করা যেতে পারে, ওয়েল্ডিং করার সময় মেকানিকরা যে ধরনের গ্লাস ব্যবহার করেন, সেটাও ব্যবহার করা যেতে পারে। আথবা প্লেটে বা যেকোনো পাত্রে পরিষ্কার পানি নিয়ে তাতে কিছু পরিমাণ গুড়ো হলুদ মিশিয়ে সেই পানিতে সূর্যগ্রহণের প্রতিবিম্ব দেখা যেতে পারে। সাধারণ সানগ্লাস বা চশমা পরে কেউ সূর্যগ্রহণ দেখতে যাবেন না। টেলিস্কোপ বা ক্যামেরার সাহায্যে সূর্যগ্রহণ দেখতে হলে অত্যাধুনিক ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে। তা নাহলে সূযের্র অতি বেগুনি রশ্মি সরাসরি চোখের ওপর পড়ার সুযোগ পায়। সম্পূর্ণ অন্ধত্বসহ নানা রকম চোখের রোগ হতে পারে। সূত্র : প্রথম আলো।

মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন বলে জানান প্রতিবাদ সভায়।

 

সর্বাধিক পঠিত